পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে গত বছর কয়েক আগেই নিজ স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর নিহতের ঘটনায় নিজের দায়ের করা মামলায় উল্টো ফেঁসে যান সাবেক পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার। আর এরপরই তদন্তে একের পর এক বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আর এদিকে এবার মিতু নিহতের মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পৃথক দুটি আইনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় তিন কারণে বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
যেসব কারণে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ—
(১) জেলে থাকাকালীন বাবুল আক্তার কিভাবে আসামি ইলিয়াসকে বিদেশে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং কার সাথে তার কথা হয়েছে তা খুঁজে বের করা।
(২) তিনি কার প্ররোচনায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচার ব্যাহত করতে জন্য ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করেছে, উসকানিদাতার নাম, ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতার করতে।
(৩) বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালীন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড তৈরি করেছিলেন কি না, ভিডিও ভয়েস রেকর্ডিংয়ে বাবুল আক্তারকে বাদী বনজ কুমার সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করতে শোনা যায়, সেই ভয়েস রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বর বাবুল আক্তারের নিজের কি না বা ভয়েস রেকর্ডের অপর প্রান্তে কে ছিল তা জানা প্রয়োজন।
আদালতের ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বুধবার (৯ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম আদেশ দেন— রিমান্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে গত বছর কয়েক আগে ছেলেকে স্কুল বসে তুলে দেয়ার সময় প্রকাশ্যে মিতুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই এখনো গ্রেপ্তারের আওতায় আন্তে পারেনি পুলিশ।