রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নি/র্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রোববার সকালে তিনি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়। অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নি/র্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় অভিযোগ ওঠে।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডিএইচএ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মা/রধর করেন। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ তাদের মা/রধর করে। এদিকে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারাত্মক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
ঘটনার বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পুলিশের ৩১ ব্যাচের এডিসি হারুন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। মহিলা কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। এডিসি হারুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সং/ঘর্ষে রূপ নেয়। এ কারণে পুলিশ ডেকে তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নি/র্যাতন চালায়।
এ বিষয়ে জানতে শনিবার রাতে এডিসি হারুন অর রশিদকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্য কোনো কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ছাত্রদের বেধড়ক মা/রধরের অভিযোগ ওঠে। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত।
এদিকে থানায় দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মা/রধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তারা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সরব তারা।