নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের নির্বাচন কার্য পরিচালনা করে থাকে। তবে সম্প্রতি বর্তমান দায়িত্বে থাকা কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। তবে এই বিষয়েয়ে রাষ্ট্রপতি দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। এদিকে সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি দল। তবে এবার বিএনপির সংশয় নিয়ে কথা বললেন আওয়ামীলীগ দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তিনি চূড়ান্ত ভাবে জানালেন নতুন নির্বাচন কমিটি গঠন পদ্ধতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি এগিয়ে আসবে বলে আশা করি। কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন এবং এই সংলাপে নাকি সংকটের সমাধান হবে না, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। গতবারও বিএনপির তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বিএনপি কি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চায়, নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়। সরকার নাকি দেশকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নিরলস প্রয়াসে বিএনপিই পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল।
সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক ও লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে। বিএনপিই এদেশকে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচারের দাপটে এখন আর তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির উপরই ভরসা করে চলেছে। বন্দী বেগম জিয়া অধিকতর শক্তিশালী- এ দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মুক্তির চেষ্টাও করেনি। আইনগত লড়াইও তেমনটা করেনি। তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপরাজনীতির দাবার গুটি হয়েছেন বেগম জিয়া।বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতিরাজনীতি করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে। বরং শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা ও মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।
আসন্ন আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক মাঠে সরব হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দল গুলো। এমনকি এই দল গুলো আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে বেহস কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। অবশ্যে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। তবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। এবগন তারা জানিয়েছে দেশে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।