বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল নানা আলোচনা। তবে শত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাকে পেয়ে রীতিমতো আনন্দিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।
এদিকে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সভাপতি পদে তার নাম ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার যোগ্য একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছে।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সভাপতি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে কমিশনে আসেন ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি মনোনয়নপ্রত্যাশী হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
রাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইয়াজউদ্দিনের মতো ইয়েস ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে আমরা মনোনয়ন দেইনি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই নির্বাচনে (রাষ্ট্রপতি পদ) তাদের কোনো আগ্রহ নেই। এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি আস্থা না থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিএনপি আগ্রহী নয়। তারা সংলাপে বিশ্বাস করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি আসুক। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হোক। ওই নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে তার যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা। শুরু থেকেই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকেই দেখতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ।