ছাত্র আন্দোলনের মুখে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে ভারতের দিল্লিতে চলে যান।
শুক্রবার রাতে দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারে তাকে দেখা যায়। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী নেতারা। তাদের কাউকেই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তেমনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানকেও দেখা যাচ্ছিল না।
আলোচনা ছিল তিনি দেশে আছেন নাকি দেশ ছেড়েছেন। এরই মধ্যে দেখা পাওয়া গেলো শামীম ওসমানের। ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আকাশ হক তাকে মাজারে দেখেছেন। রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামীম ওসমানের ছবিও তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে আকাশ হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।
আকাশ হক গণমাধ্যমকে জানান, রাতে তিনি দিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যান। এ সময় তিনি শামীম ওসমানকে দেখতে পান। শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। প্রমাণ হিসেবে ছবি তুলেছেন বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জে গডফাদার গিসেবে পরিচিত এই আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্র আন্দোলনের সময় ছেলে ও রাজনৈতিক অনুসারীদের ওপর গুলি চালানোর পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
গত ৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শামীম ওসমানকে শেষ দেখা যায়। ওই রাতেই দলীয় গোপন বৈঠক হয়। পরদিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। ওই মিটিংয়ের পর আর দেখা যায়নি শামীম ওসমানকে। অবশেষে তার দেখা পাওয়া গেলো।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর শামীম ওসমান ও তার বাহিনী গুলি চালায়। তার নেতৃত্বে বাহিনীর গুলি চালানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই দিন শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন, শ্যালক টিটু, বেয়াই লাভলু, তার ছেলে মিনহাজুল আবেদীনসহ বাকি অনুসারীদের গুলি করতে দেখা যায়।