দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপসারণ সহ নানা অভিযোগ নিয়ে চলছিল আন্দোলন। অবশেষে অবসান ঘটল সেই আন্দোলনের, পুরোপুরি না হলেও হতে পারে পুরোপুরিভাবেই। ভার্চুয়ালি বিভিন্ন পক্ষের আলোচনা চলছিল যে আলোচনা থেকেই মিলল সমাধান। দেওয়া হয়েছে তিনটি শর্ত, তবে শর্ত না মানলে শুরু হবে আবারও আন্দোলন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কাব) রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের অপসারণ ও বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন মো.
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল আলোচনার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন শর্তে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন।
শর্তগুলো হলো, বর্তমান রেজিস্ট্রারকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অপসারণ করে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিতে হবে, অন্যথায় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলন চলবে; ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিন্ডিকেট করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সিন্ডিকেট ছাড়া যেসব দাবি করা যায় সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম ও প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
এ ছাড়া অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল লতিফ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও কর্মচারী পরিষদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু। জসিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত বুধবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। অবশেষে রাত ৮টার দিকে তারা রেজিস্ট্রার অফিসে তালা দেন।
যদিও শর্তগুলো মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ তবে যতক্ষণ না মানা হচ্ছে ততক্ষণ নেই নিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক, খুলে দেওয়া হয়েছে রেজিস্টার দপ্তরের তালা। তবে এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত শর্তগুলো মেনে নেওয়া হয় কিনা পুরোপুরিভাবে, সেইসাথে এই আন্দোলনের শেষ কোথায়।