Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Sports / অবশেষে ক্রিকেট দলের বড় ধরনের দায়িত্ব পেলেন সাকিব আল হাসান

অবশেষে ক্রিকেট দলের বড় ধরনের দায়িত্ব পেলেন সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান টেস্ট ম্যাচ খেলতে চান না এমনকি তিনি এই পদ্ধতির খেলায় বেশি একটা আগ্রহী নন এমটাই শোনা যাচ্ছিল। তবে বাংলাদেশ ( Bangladesh ) জাতীয় দলের কারিগরি পরিচালক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ ( Khaled Mahmood ) সেটি বলছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তাদের জানা মতে, সাকিব এই সংস্করনই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন এবং লং ভার্সনে খেলতে চান।

আগে যে জল্পনা ছিল, তাই সত্যি হল। বাংলাদেশ ( Bangladesh ) দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের ( Shakib Al Hasan ) নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার ( Liton Kumar ) দাস। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) (২শে জুন ( June )) বোর্ডের দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ( Bangladesh ) ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন পরিচালক দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছেন। টেস্ট অধিনায়ক হতে চান না বলেই আলোচনায় নতুন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল ( Muminul ) হক। যেখানে সবচেয়ে বেশি শোনা গিয়েছিল শাকিবের নাম। তাকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ( Indies ) সফরের পর তৃতীয়বারের মতো টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করতে চলেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিবকে শিক্ষকতায় নিষিদ্ধ করার পর ২০১৯ সালে ( ) টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল ( Muminul ) হক। তার নেতৃত্বে মাউন্ট ম্যাঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য আসেনি। বরং এ সময় ব্যাট হাতে ছিল নিজের ছায়া হয়ে।

শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরপরই তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। যেটা নিজেই শেষ হয়ে গেল। ৩১ মে বিসিবি সভাপতিকে জানিয়েছিলেন তিনি আর অধিনায়ক হতে চান না। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে নতুন অধিনায়কের পথে হাঁটল দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনজুরির পর প্রথমবারের মতো টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব। ২০১১ সাল পর্যন্ত সেই সময়কালে তিনি ৯টি টেস্ট জিতেছিলেন এবং একটি জিতেছিলেন। তারপর ২০১৮ সালে টাইগার অলরাউন্ডার মুশফিকুর রহিমকে বদলে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তিনি ২০১৯ সালে আরও ৫টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেখানে দল দুটি ম্যাচ জিতেছে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১টি পরাজয়ের মধ্যে ৩টিতেই জয় পেয়েছেন সাকিব। তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ টেস্ট দলে সাকিব কতটা সাফল্য আনতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এক বছরের আইসিসি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আসার পর সাকিব পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন। এই সময়ে বাংলাদেশ ১৩টি টেস্ট খেলেছে। নানা কারণে বিশ্রামে ছিলেন এবং টেষ্ট খেলতে চাননা সাকিব। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরও পারিবারিক কারণে টেস্ট না খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে।

About Syful Islam

Check Also

সাকিব ইস্যুতে বাংলাদেশকে ‘নিষিদ্ধ’ করতে পারে আইসিসি

সাকিব আল হাসানকে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে তার ভক্তরা নানা কর্মসূচি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *