ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতীয় অভিনেতা নাঈম সাইয়িদ, যিনি জুনিয়র মেহমুদ নামে পরিচিত ছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৭।
মিডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জুনিয়র মেহমুদের পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে যে জুনিয়র মেহমুদ রাত ২.১৫ টায় তার বাসভবনে মারা যান। তিনি পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
জুনিয়র মাহমুদের ছেলে হুসনাইন বলেন, বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৮ দিন আগে আমরা জানতে পারি। আর সেটা হল চতুর্থ পর্যায়। আমরা তাকে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার ডিন আমাদের বলেছিলেন যে এই পর্যায়ে চিকিত্সা এবং কেমোথেরাপি খুব বেদনাদায়ক হবে। তিনি হাসপাতাল থেকে আমাদের বাড়িতে তার যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন।
জুনিয়র মেহমুদের অসুস্থতার কথা শুনে তার সঙ্গে দেখা করতে যান অভিনেতা জনি লিভার। এ ছাড়া গেলেন জিতেন্দ্র, শচীন পিলগাঁওকর। জিতেন্দ্র বলেছিলেন যে তিনি এতটাই যন্ত্রণায় ভুগছিলেন যে তিনি চোখ খুলতে পারছিলেন না। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি তাকে এভাবে দেখতে পাব। আমাকে চিনতেও পারেনি।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র মেহমুদ শিশুশিল্পী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ‘মহব্বত জিন্দেগি হ্যায়’ (১৯৬৬) দিয়ে। এরপর তিনি ‘নৌনিহাল’, ‘ক্যারাভান’, ‘হাতি মেরে সাথি’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘সোহাগ রাত’, ‘ব্রহ্মচারী’, ‘কাটি পতং’, ‘হরে রমা হরে কৃষ্ণ’, ‘ইমানদার’, ‘বাপ নম্বরি বেটা দশ নম্বরি’, ‘আজ কা অর্জুন’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু মারাঠি সিনেমা প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।