গত কয়েক বছর ধরে দেশে অনলাইনে পন্য কেনা-বেঁচার প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে একটি চক্র বেশ সক্রীয় হয়েছে। এবং নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমানের অর্থ। তবে এই সকল অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সরকার। এবং এমন অনেককেই আটক করে শাস্তির সম্মুখীন করেছে। তবে ইতিমধ্যে প্রতারনার শিকার হয়েছে অনেক গ্রাহক। এই সকল গ্রাহকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
মামলার কারণে অভিযুক্ত ই-কর্মাসগুলোর গ্রাহকদের টাকা আটকে আছে। এজন্য পু/লি/শ/কে বলা হয়েছে, কাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে। ৬শ কোটির বেশি টাকা আটকে আছে। ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন। ই-কর্মাস নিয়ে গঠিত কারিগরী কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান। অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, ই-কমার্সে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে পড়া গ্রাহকের টাকা ছাড় করতে পু/লি/শে/র কাছে এ সংক্রান্ত মামলার তথ্য চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের বকেয়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফেরত দেয়া হবে। এ কারণেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সকল মামলার তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জানাতে পু/লি/শ সদর দফতরকে বলা হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতে গ্রাহকদের প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো আটকে আছে।
অবশ্যে অনলাইনে পন্যে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা না থাকায় প্রতারক চক্র এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে। তবে এই সকল অনিয়ম প্রকাশ্যে আসতে অনলাইনে পন্যে ক্রয়-বিক্রয়ে নীতিমালা প্রনয়ন করে দিয়েছে সরকার। এতে করে গ্রাহকরা প্রতারনার হাত থেকে রেহাই পাবে।