চলতি মাসের গত ২৭শে জানুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। অনেক খোজ খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে শেষমেষ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবগত করেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন।
কিন্তু এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। আজ মঙ্গলবার দুুপুরে আসিফের স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তার স্বামীকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে আপত্তি জানান তিনি। এর আগে সোমবার মেহেরুন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে আবেদন করেন। এতে তিনি আসিফকে খুঁজে বের করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন জানান।
এতে তিনি বলেন, তার স্বামী মোটরগাড়ি প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। ২৭শে জানুয়ারী তার স্বামী বাড়ি থেকে চলে যায় এবং আর ফিরে আসেনি। যাওয়ার সময় মোবাইল ফোন রেখে যান তিনি। এর আগে ২৫ জানুয়ারি আসিফের প্রচারণা প্রধান আবু মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রাম্য কলহের মীমাংসা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই দিন থেকে মেহরুনের ছোট ভাই নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক শাফায়াত হোসেন সুমনও ভয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে রয়েছেন। মেহেরুন আরও অভিযোগ করেন, সাদা পোশাকের পুলিশ এসে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। প্রচারণার সময় তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়নি। প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য যেভাবেই হোক প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে আসিফের নিখোঁজ হওয়ার পর মেহরুনের একটি অডিও মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যাতে সে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে বলে সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে আসিফকে কাপড়সহ বাসা থেকে বের করে দিতে।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা ও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।