সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সুলতানা সম্প্রতি তার কর্মস্থল থেকে শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রায় ৩ মাসের জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে তার এই আবেদনকৃত ছুটি মঞ্জুর করে তাকে তিন মাসের জন্য ছুটি প্রদান করা হয়। কিন্তু তার এই ছুটির পর থেকে তাকে আর যোগাযোগ করে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কমিটির উর্ধতন সদস্যদের মারফত বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপকভাবে আলোচিত প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সুলতানাকে অবশেষে চাকরি থেকে বরখাস্থ করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮-এ, তিনি শারীরিক সমস্যা দেখিয়ে ছুটিতে তার পরিবারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের সঙ্গে সৈয়দা জেসমিন সুলতানার কোনো যোগাযোগ ছিল না। উপজেলা শিক্ষা অফিস তার ঠিকানায় একাধিকবার জবাব চেয়ে চিঠি দিলেও কেউ তা গ্রহণ করেনি। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমে আমেরিকা থেকে গোলাপগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করছেন জেসমিন শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা বেগম। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজ খান জানান, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান নাজমুল আলম দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান নাজমুল আলম প্রধান শিক্ষিকার ক্লোজডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সুলতানা ২০১৮ সাল থেকে তিন মাসের ছুটিতে পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাকে একাধিক বার এই বিষয়ের জবাব দিতে বলে চিঠি পাঠানো হলেও তার কোন সারা পাওয়া যায়নি। একটি স্বনামধন্য গনামধ্যমে তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার মাধ্যমে তার প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।