বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশ জুড়ে ভাইরাস ভীতি বিরাজ করেছে। এই ভাইরাসের প্রকোপে গোটা দেশ থমকে গেছে। এবং দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সংকট। এই সংকটময় পরিস্তিতিতেও দেশে এক শ্রেনীর সুবিধা বাধী ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য নানা ধরণের অপরাধ কর্মাকান্ড পরিচালনা করছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতও এই অনিয়মের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই ভিত্তিতে বেশ বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এরই ভিত্তিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন তিনি।
দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন বিষয়ে শুনানি হবে। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম আত্মসমর্পণের বিষয়টি জানান। এর আগে, গত ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু বিচারক অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তিনি এ মামলায় শুনানি গ্রহণ করতে পারেননি। বিচারক তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে আসার জন্য বলেন। এরপর তার আইনজীবী আত্মসমর্পণের আবেদন তুলে নেন। সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। চার্জশিটভুক্ত অন্য ৫ আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
বর্তমান সময়ে দেশের দূর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে কাজ করছে দূর্নীতি দমন কমিশন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রেনীর বিভিন্ন পেশার অসংখ্য অনিয়মকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনেছে দুদক। বিশেষ করে বর্তমান সরকার দেশে সকল অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এবং দূর্নীতি ও মা/দ/কে/র বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছে।