বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রনয়নে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন থাকা কালিন পরলোক গমন করেন। তাই তার প্রয়াত দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সকল ধরনের ভেরিফিকেশ শেষ হয়েছে। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, তার নিথর দেহ আজ (সোমবার) দেশে আসবে। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জার রহমান এবং মায়ের নাম হামিদুন নেছা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে কাজ করেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ১২ই জুন 1996 সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
তিনি ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে একাদশতম গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার দেশে ফেরার খবর পেয়ে অনেকেই তাকে নিতে বিমান বন্দরে অবস্থান করছে। অনেকে সরাসরি তার জানাযায় উপস্থিত থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অপেক্ষা করছেন।