নিজেদের দেশে নিপীড়নের ভয়ে একটি পরিবার আশ্রয় চেয়েছিল অস্ট্রিলিয়ার কাছে তবে তাদের সেই ডাকে সাড়া মেলেনি অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে।অস্ট্রেলিয়ায় চার বছর কার্যত বন্দী থাকার পর অবশেষে একটি শ্রীলঙ্কার তামিল পরিবারকে আনুষ্ঠানিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই চার বছরের সংগ্রামে তারা স্থানীয় মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অস্ট্রেলিয়ার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নীতিটি কঠোর হওয়ার সাথে সাথে তাদের এত কাঠখড় পোড়াতে হবে। প্রায় এক দশক আগে প্রিয়া নাদারাজাহ এবং তার স্বামী নাদেসালেংগাম আলাদাভাবে নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে সেখানে আশ্রয় চেয়েছিলেন।
পিটিশনে প্রিয়া এবং নাদেস বলেছেন যে তারা শ্রীলঙ্কায় নিপীড়নের ভয় পান কারণ তারা সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ের সদস্য। তারা২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। কিন্তু তার আশ্রয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। এরপর থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের ভাগ্য বিলাওয়েলার মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। তাদের ডিটেনশন সেন্টার থেকে বিলোয়ালে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলনও শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ান সরকার শেষ পর্যন্ত বলেছে যে জটিল এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতির কারণে তাদের আবাসিক ভিসা দেওয়া হয়েছে।
প্রিয়া বলেন, ‘আমার পরিবার অবশেষে এই সিদ্ধান্তে শান্তি পেল। এখন আমার মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নিরাপদে বড় হতে পারে। আমি এবং আমার স্বামী নির্ভয়ে এখানে থাকতে পারি। অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর প্রিয়া ও নাদেসের দেখা হয় বিলোয়েলা শহরে। সেখানে তাদের বিয়ে হয়। এখন তাদের কপিকা ও থার্নিকা নামে দুই মেয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে দেখা যায় সেদেশের সংখ্যলঘু যারা আছেন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কারনে তাদের অবস্থানরত দেশে থাকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যার ফলে তারা নিজের দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে নাগরিক্ত্ব বা সেই দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সাহায্য চায়।