সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যু/দ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপি অনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে পৃথিবী ব্যাপি তার প্রভাব পড়েছে এতে অনেক দেশ ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়েছে গেছে। অন্যান্য দেশের মতও বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এসব পদক্ষেপের কার্যকর করার জন্য নতুন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি অফিসের পাশাপাশি ব্যাংক চালু ও বন্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে।
আগামী বুধবার থেকে এ সময়সূচি কার্যকর হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি অফিসগুলোকে দিনের বেলায় যতটা সম্ভব বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পর্দার ব্যবহার কমানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন যু/দ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে বিলাসবহুল পণ্য আনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের আমদানি কমাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া দোকান খোলার সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন আমদানিকৃত দ্রব্যের নির্ভরতা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব। এর মাধ্যমে সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভারসাম্য ঠিক রাখার চেষ্টা করছে।