নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে মহাসড়কে এক পুলিশ সদস্যকে ভাংচুর, সহিংসতা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, আসামিরা গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বসে ঢাকাসহ সারাদেশে সব নাশকতার পরিকল্পনা করে।
তবে হোটেল বা হোটেলগুলোর নাম জানায়নি র্যাব।
বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দফতরে গ্রেফতারদের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে এই ১০ জন গত ৩১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল ও ককটেল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করে। এছাড়া তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের ডাল ছুড়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও পাথর নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, পরে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে নরসিংদী থেকে ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতি রোধ করে ভাঙচুরসহ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব পরিচালক আরও জানান, হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা নিরাপদে আত্মগোপন করতে রাজধানীর গুলশানের বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও বিখ্যাত হোটেলে অবস্থান করে। বিখ্যাত হোটেলে অবস্থান করে তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করে বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতায় সরাসরি অংশ নিচ্ছিল। গ্রেফতারকৃতরা গুলশান এলাকার একটি স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করে গুলশান এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ জুয়েল আহমেদ (৫২), মোঃ ইফসুফ আলী ভূঁইয়া (৬৯), মোঃ মাসুম শিকারী (৪৫), হাবিবুর রহমান সেলিম (৪৮), মোঃ শফিউদ্দিন ভূইয়া (৫১), মোঃ শফিউদ্দিন। ভূইয়া (৪৮), মোঃ মাসুকুল ইসলাম (৫৩), মোঃ শাকিল মিয়া (৪০), মোঃ আরমান মোল্লা (৪৬) ও মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৪)।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।