বিশ্বে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং সেইসাথে তুলনামূলক ভাবে বেরেছে বিমান বিধ্ব’/স্ত হওয়ার ঘটনা। যার কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুন। ভাগ্যক্রমে অনেক বিমান দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা বেঁচেও যান। এবার ভারতে একটি প্রশিক্ষন যুদ্ধবিমান পাখির কারনে হলো বিধ্বস্থ কিন্তু ভাগ্যক্রমে দুই পাইলট বেঁচে গেলেন।
ভারতের গোয়া রাজ্যে একটি নৌবাহিনীর একটি ফাইটার জেট প্রশিক্ষণ চলাকালে অবতরণের সময় আগুন লেগে বি’ধ্ব’/স্ত হয়েছে। শনিবার রাজ্যের ভেরনা গ্রামের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিমানের দুই পাইলট ক্যাপ্টেন এম শিওকান্দ এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দিপক জাদব বিমান থেকে নিরাপদে অবতরণ করটে সক্ষম হন।
ভারতীয় নৌবাহিনী প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে প্রশিক্ষণের সময় একটি মিগ-২৯ কে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ইনস হানসা থেকে ডাবোলিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেছিল। তখন বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে বিমানের দুই পাইলট ক্যাপ্টেন এম শেওকন্দ এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দীপক যাদব নিরাপদে আছেন। পরে নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, পাখির ঝাঁকের কারণে বিমানটি বি/ধ্ব”স্ত হয়েছে।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে যে রুটিন প্রশিক্ষণ শেষে গোয়ার ডাবোলিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণের সময় পাখির ঝাঁকের কারণে দুই আসন বিশিষ্ট MIG-29K বিমানটিতে আগু’ন ধরে যায়। ধারনা করা হচ্ছে ইঞ্জিনের কোনো অংশে পাখি ঢুকে যায় যার কারনে অবতরনকালে আগুন ধরে যায়।
নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, খুব বেশি ক্ষতির কারণে বিমানটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পাইলট বলেছিলেন যে, বিমানটি জনবহুল এলাকা থেকে দূরে ছিল এবং তারা নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল। এ ঘটনায় নৌবাহিনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকটি প্লেন দুর্ঘটনা পাখির কারণে ঘটে, যার কারণে ব্যাপক প্রাণহানি হয়। তবে অন্যান্য সকল কারণ প্রতিরোধে প্রকৌশলীর বিজ্ঞানীরা সচেষ্ট হতে পারলেও পাখির দ্বারা যে সকল বিমান দুর্ঘটনায ঘটে সেই সকল দূর্ঘটনা কোনোক্রমেই এড়ানো সম্ভব নয়। তবে পাইলটের সতর্কতার কারণে এই সকল দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। পাখির দ্বারা ঘটিত বিমান দুর্ঘটনা সাধারনত অবতরণ বা উড্ডয়নের সময় বেশি ঘটে থাকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।