চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, যারা আজ আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করছে তাদের রুখতে হবে। যেকোনো মূল্যে তাদের নিচিহ্ন করতে একাত্তরের হাতিয়ার হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত আছি। ১৯৭১, ১৯৭৫ এবং ২০০৪ সালের ঘটনাগুলি একসাথে বাঁধা। এসব ঘটনার খলনায়ক এবং কুশীলব জিয়াউর রহমানসহ বশংবদদের নিশ্চিহ্ন করতে নেত্রী শেখ হাসিনার সংকেত পেলেই শুরু হবে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাছির আরো বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তার নির্দেশ পেলেই কোথাও আলবদর, রাজাকার ও পাকিস্তানি ভূতের চিহ্ন রাখব না। আমরা এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এম এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উত্তরসূরি।
তাদের কাছ থেকে আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংগ্রামের দীক্ষা নিয়েছি। এই তিনটি জিনিস আমাদের কাছে পবিত্র। আমরা যেকোনো মূল্যে এর পবিত্রতা রক্ষা করব।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গত ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা মধ্যযুগীয় বর্বরতার কলঙ্ককে হার মানিয়েছে।
এই ঘটনার মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এখন তার মরণোত্তর বিচার হলে জাতীয় চার নেতার আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের মোকাবেলা করার শক্তি নিয়ে আমরা মাঠে আছি। চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের চারণভূমি এবং বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি। এই পুণ্য ভূমিতে অসভ্য বর্বর রাজাকার-আলবদরদের বশংবদদের ঠাঁই নেই।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন একই কমিটির সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল আমিন, ফারুক আহমেদ, হাজী মো. হাসান।