দীর্ঘ অভিযানের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে উদ্ধারের পর সেই রহিমা বেগমকে নিয়ে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বইছে ব্যাপক শোরগোল। বিশেষ করে উদ্ধারের পর তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি করেছেন যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ওষুধ, ওড়না এমনকি সাথে থাকা আয়নাটিও অক্ষত পাওয়া যায় রহিমার কাছে। তবে সত্যিই যদি তিনি অপহরণ হয়ে থাকেন তাহলে এসব সামগ্রী কীভাবে তার কাছে আসলো। আর এ নিয়েই চলছে বেশ আলোচনা।
উদ্ধারের সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর মা রহিমা বেগমের সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। তবে মায়ের এই স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি রহিমা বেগমও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিমা স্বেচ্ছায় নিজেকে আড়াল করেছিলেন। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে কাপড় এমনকি তার ব্যবহৃত প্রসাধনীও পাওয়া গেছে। ওষুধ, ওড়না এমনকি সাথে থাকা আয়নাটিও পাওয়া যায় তার কাছে। অপহরণ হলে এসব সামগ্রী কীভাবে তার কাছে আসলো। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, তদন্তকালে ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রহিমা বেগমকে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সন্তানরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত লাশের ছবি দেখে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান দাবি করেছেন, এটি তার মায়ের। তিনি পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, দেহের হাত-পা, মুখমণ্ডল ও উদ্ধার হওয়া কাপড় দেখে নিশ্চিত করেন এটাই তার মা। এ নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব ছিলেন তিনি। এ নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। এমনকি তিনি ডিএনএ প্রোফাইল করতেও রাজি হয়েছেন। তবে মাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের পর মরিময় বেগম ও তার বোনদের মেজাজ বদলে যায়। এখন তারা বলছেন, মাকে জীবিত পেয়ে তারা খুশি। এর বেশি কিছু বলতে রাজি নন তারা।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করছেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলে নিজেই অপহরণের নাটক সাজান রহিমা বেগম। তবে এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।