রাজশাহীতে ছু// রিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আরএমপির শাহমখদুম পুলিশ জানিয়েছে, মুকুল হোসেন (৪৫) আরেক ব্যক্তির স্ত্রীকে বিয়ে করার পর তাকে প্রয়াত করা হয়েছে। মুকুলের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার নামোপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজশাহীতে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্বামীকে কুপিয়ে প্রাণনাশ করেছে প্রথম স্বামী। রোববার সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার মাস্টারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। প্রাণনাশের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রয়াত আব্দুল রহমান মুকুল পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে। মুকুল নথির লেখক। তিনি সদর দলিল লেখক সমিতির সদস্য। মুকুল নগরের নওদাপাড়া এলাকার মাস্টারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রাণনাশের ঘটানর সাথে জড়িত সন্দেহে টিটন আলীকে আটক করেছে পুলিশ। টিটন আলী নগরের রাণীনগর এলাকার সাধুর মোড়ের আব্দুল লতিফের ছেলে। শাহমখদুম থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, প্রয়াত মুকুল শাহমুখদুম থানাধীন নওদাপাড়া এলাকার মাস্টারপাড়ায় আনার নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় থাকতেন। টেটন আলী বাড়ির কাছে মুকুলকে ছু// রিকাঘাত করে এবং পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় শাহমখদুম থানার টহল দল ধাওয়া করে টিটনকে আটক করে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাথায় আঘাত পাওয়ায় টিটনকে পুলিশ হেফাজতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসি জানান, প্রয়াত মুকুল সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়। ইতিমধ্যে অপেক্ষায় থাকা টেটন তাকে দেখামাত্র ছু// রিকাঘাত করে এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা মুকুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, সম্প্রতি প্রয়াত মুকুল তিতের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন। এই ক্ষোভ থেকে টেটন আলী মুকুলের ওপর চড়াও হয় এবং ছু// রিকাঘাত করে। মুকুলের নিথর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছু// রি ও প্রাণনাশের ঘটনায় ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ের করার অপরাধে নিজের জীবন বিপাকে প্রেমিক। অন্যের স্ত্রীর জন্য নিজের জীবন দিতে হয়েছে এক যুবকে এমনই একটা প্রতিবেদনে গনমাধ্যমে আলোচনার একটি বিষয় বস্তু হয়েছে। প্রাণনাশের ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে জরিত ব্যক্তিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা কালে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।