বরগুনায় শোক দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘ’/র্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলী। এরপর তিনি দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন। তাছাড়া বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সাথে জড়িয়ে পড়েন তর্কাতর্কিতে। যার কারণে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পুলিশ সুপারকে বরগুনা থেকে দায়িত্ব প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে এবং এরপর তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে। এবার তাকে প্রশংসায় ভাসালেন অনেকে।
একজন নেটগারিক লিখেছেন- সিলেট সুনামগঞ্জের মাটির কৃতি সন্তান পুলিশ সুপার মহরম আলী। গত ১৫ই আগস্ট শোকাবহ দিনে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারতো। সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নেপথ্যের ঘটনা সম্পর্কে বরগুনার মানুষ কী জানে?
পুলিশের সামনে কিছু ঘটলে আপনাদের মন্তব্য, নীতিকথা ও আবেগ এগুলো কোথায় থাকতো? পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধর মুখে ফেলে দিতে খুব ভাল লাগে আপনাদের।
সবসময় আপনারা আপনাদের স্বার্থের জন্য পুলিশকে ব্যবহার করতে চান?
অন্যায় করাতে চান? এটা না করলে পুলিশ ভালো না, সে ছাত্রদলের ক্যাডার। কি দারুন বিষয়!
অতীত এবং বর্তমান ভুলে যাবেন না। পুলিশের অবদান। আপনাদের মিছিল মিটিংয়ে আপনাদের রক্ষায় কত পুলিশ প্রাণ দিয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। আপনারা কী তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন? কত মায়ের বুক খালি হয়েছে জানেন? আর গতকাল সরকারি সম্পদ বাঁচাতে কয়েকটা বাড়ি দেওনে ফে”ইসবুক আবেগে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। পদত্যাগ চাচ্ছেন।
আপনারা কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে পুলিশ এক ঘন্টা কাজ বন্ধ রাখলে আপনাদের কী হবে?
উড়ে এসে জুড়ে বসেননি না। সে তার শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলোকে এই জায়গায় এসেছেন। যারা খারাপ মন্তব্য করে তারা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে এবং তার সমালোচনা করতে পারে। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আপনি দীর্ঘজীবী হোন। কোনো দলের অন্যায়ের সঙ্গে আপস নয়। বাংলাদেশ পুলিশ হোক সততা, সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক। স্যালুট তোমাকে।
তার এই ধরনের পদক্ষেপকে ছাত্রলীগের একাংশ সঠিক পদক্ষেপ বলে প্রশংসা করেন এবং পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে সংসদ সদস্য ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন অপরদিকে ছাত্রলীগ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছে আ.লীগের অনেক নেতা। তবে তিনি যেটা করেছেন সেটা সবদিক থেকে ভালো সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তারা।