ঢাকাই চলচ্চিত্র প্রযোজক সেলিম খান এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তারা দুজনেই দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকাই সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এবং নির্মান করেছেন অসংখ্য সিনেমা। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্যে বেহস কয়েকটি সিনেমা রয়েছে। সম্প্রতি সেলিম খানকে নিয়ে সিনেমা জগতের কথা তুলে ধরে বেহস কিছু কথা জানালেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
কেউ বললেন ঢাকাই সিনেমার ‘বিস্ময়’, কেউ বললেন ঢাকাই সিনেমার বিপদের বন্ধু, কারো চোখে তিনি ঢালিউডের ত্রাণকর্তা; প্রবীন নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর চোখে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক সেলিম খান স্যালুট পাওয়ার যোগ্য একজন নিবেদিত মানুষ। আজ ৩০ নভেম্বর বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে এক অনুষ্ঠানে সেলিম খানকে নিয়ে এই মন্তব্য করে হাত তুলে স্যালুট দেন ঝন্টু। আইপি টিভি হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে ভয়েস টিভি। এর চেয়ারম্যান সেলিম খান। তাকে সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, মহাসচিব শাহীনু সুমন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সেক্রেটারি জায়েদ খান। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক জাকির হোসেন রাজু, দেওয়ান নজরুল, শাহ আলম কিরণ, মোহাম্মদ হোসেন, বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক মো. ইকবাল, চিত্রনায়ক কায়েস আরজু, আলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরীসহ আরও অনেকেই।
সেলিম খানকে নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘সিনেমায় এসেছি সেই ১৯৬৪ সালে। রেকর্ডসংখ্যক ৮৫টি সিনেমা বানিয়েছি। অনেক প্রযোজক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু সেলিম খানের মতো সিনেমাপ্রেমিক প্রযোজক দেখিনি।
তিনি বড় ব্যবসায়ী। রাজনীতি করেন। কিন্তু সিনেমাকে ভালোবাসেন মন থেকে। উনি নিজেই নন, তার মেয়ে ও দুই ছেলেকেও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তারাও প্রযোজক। এক ছেলে নায়ক হয়েছে। বোঝা যায় সিনেমাকে তিনি কতোটা ধারণ করেন। কোনো কিছুর ফিডব্যাক আশা না করেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নে খরচ করে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো দিনের পর দিন বেকার হয়ে থাকা পরিচালকদের কাজ দিচ্ছেন তিনি। একসঙ্গে ১০০টি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষের মুখে অন্ন দিচ্ছেন সেলিম খান। যে যাই বলুক, আমি তাকে স্যালুট জানাই।’ সেলিম খানকে নিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচালক সমিতির পক্ষে মানপত্র পড়ে শোনান জাকির হোসেন রাজু। সেখানে সেলিম খানকে সিনেমার মহান বীর, মহামানব বলে আখ্যা দেয়া হয়। এছাড়াও একসঙ্গে ১০০ সিনেমার ঘোষণাসহ সিনেমার দুর্দিনে সেলিম খানের অবদানকে উল্লেখ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান মিশা, জায়েদসহ অন্যান্য বক্তারা। তারা সবাই প্রত্যাশা করেন, সেলিম খান নিয়মিত থেকে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য কাজ করে যাবেন।
বর্তমান সময়ে এক সংকটময় পরিস্তিতি বিরাজ করছে দেশের বিনোদন মাধ্যমে। এমনকি পর্যাপ্ত এবং মান সম্মত সিনেমার অভাবে ক্রমশই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সিনেমা হল গুলো। ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এই মাধ্যমেকে টিকিয়ে রাখতে নিরলস ভাবে কাজ কছে বিনোদন মাধ্যমের অনেকই। এমনকি সরকারও এই মাধ্যম টিকিয়ে রাখতে প্রদান করছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।