বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকাা এক দফা দাবির মুখে অবশেষে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে তিনি শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান ।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। ইতোমধ্যে নতুন সরকারের সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ও বরাদ্দ হয়েছে। তবে এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ের প্রথম বৈঠকও শুক্রবার (৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়েও কথা বলেন তিনি।।
বৈঠকের প্রাথমিক আলোচনা সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজ দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। শুরুতেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হবে। পাশাপাশি বিচার কাজ দ্রুত চালু করা হবে এবং হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় (রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন) ডাকা হবে।
নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকাল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের বিষয়ে এখন আলোচনা করা বা সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না। কারণ, আপনি কি রিফর্ম (পুনর্গঠন) চান সেটি না বুঝে তো আমি মেয়াদের কথা বলতে পারবো না। আবার রিফর্ম যদি না চান, তাহলে আবার ভিন্ন। সুতরাং, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে অন্তর্বর্তী সরকার।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারও বিচার করা হবে। এ সময় শুরুতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং পুলিশের মনোবল ফেরাতে কাজ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। শিক্ষার্থীরা কীভাবে নির্ধারিত উপদেষ্টাদের সাথে কাজ করবে তার জন্য একটি কাঠামোও তৈরি করা হবে।