পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে যেন আলোচনা সমালোচনা থামছেই না। একের পর এক সব বিতর্কিত বক্তব্যের কারনে তিনি বার বার হচ্ছেন সমালোচিত। আর সেই কারনে তাকে নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে ব্যাপক। আর এই ধারাবাহিকতায় এবার তাকে নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন দেশের বিশিষ্ট নারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই কলাম তুলে ধরা হলো:-
মানুষের মাঝে মাঝে খারাপ সময় থাকে। এটাকে আমরা ‘চোরাবালিতে পড়া’ বলি। আপনি যদি এই কেলেঙ্কারীতে পড়ে যান তবে আপনাকে লড়াই করতে হবে না, আপনাকে চুপ থাকতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেদিন বললেন আমরা স্বর্গে আছি, সে নিজের জন্য যথেষ্ট বিপদ তৈরি করেছে। ‘বালি’ না হলেও বিপদটা কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন তিনি।
বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থে বেহেশত বলিনি। মুখের কথা কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।’ কে কাকে খাচ্ছে সেই আলোচনায় না গিয়ে বলে রাখি, করোনার কারণে মানুষ যখন বিপর্যস্ত, টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের সারি দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, চাকরি চলে যাচ্ছে, বেতন কমে মানুষ যখন হিসাব কষছে সন্তানের জন্য দুধ নাকি মায়ের জন্য ওষুধ কিনবে, ঠিক তখনই হঠাৎ করে জ্বালানির দাম বাড়া যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। আর সেই ঘায়ের ক্ষততে লবনের ছিটার মতো আসলো বেহেশত প্রসঙ্গ। সেটাও এক রকম সামলে ফেলেছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এইবার আর বিপদ না, হাত পা মেলে চোরাবালিতে ঝাঁপ দিলেন তিনি। এখন দেখার বিষয় একা ডোবেন নাকি দলবলসহ।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় মহোদয় ভারত সরকারের কাছে এক বিরাট আবদার বা কারো কারো মতে আবেদন করেন। সেই চাহিদা মেটাতে ভারতকে যা করা দরকার তাই করতে হবে। তিনি খোলাখুলি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের রোল মডেল। এটা টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এবং সত্যিকার অর্থে সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করার জন্য আমি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আজ পর্যন্ত আমরা সরকারি দলের কাছ থেকে শুনেছি তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ দল বিদেশিদের কাছে প্রতিবাদ করছে, তাদের কাছে অভিযোগ করছে, তাদের কাছে সরকারের সমালোচনা করছে। সমাধান চাই। আর সরকারি দল মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে দেশের জনগণই তাদের শক্তি ও ক্ষমতার একমাত্র উৎস। যাইহোক, এমনকি একটি শিশুও ২০১৪ সাল থেকে এই সরকারের বিদেশী নির্ভরতা সম্পর্কে জানে, যদি আমরা ২০০৩-২০০৪ সালে বিরোধী দলে থাকাকালীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের কথা বাদ দেই। এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল ১/১১-এর পর বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হয়।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স’ বইতে লিখেছেন যে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন ডি-ফ্যাক্টো শাসক, সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ ভারত সফর করেন এবং তিনি প্রণব মুখার্জিকে তাঁর চাকরি হারানোর ভয়ের কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের পর নতুন সরকার। জনাব প্রণব মইন ইউ আহমেদকে আশ্বস্ত করেছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। বাংলাদেশে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় না থাকার পেছনে কোনো দেশের ভূমিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা, কানাঘুষা চলছে। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসে তথাকথিত ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে। ভারতে তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। নির্বাচনের আগে দেশে এসেছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। বিএনপিসহ প্রায় সব দল নির্বাচনে না থাকায় জাতীয় পার্টিকে যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে এনে কিছুটা হলেও বৈধ করার চেষ্টা করা হয়। মিস সুজাতা এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য চাপ দেন, যা বৈঠকের পর এরশাদ মিডিয়ার কাছে ফাঁস করেন। পরে প্রমাণিত হয় যে এটি তৎকালীন ভারতীয় কংগ্রেস সরকারের সুদূরপ্রসারী সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনার একটি অংশ। বাংলাদেশে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সালমান খুরশিদ। ২০১৫ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘দ্য আদার সাইড অফ দ্য মাউন্টেন’ বইয়ে তিনি যা বলেছিলেন, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তার দলের কংগ্রেস সরকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা হস্তক্ষেপ করেছিল।
সেই বইয়ে তার একটি উদ্ধৃতি নিম্নরূপ – “বাংলাদেশে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রাথমিক ইতিবাচক লক্ষণগুলি একদিকে সরকারপন্থী এবং তরুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী জাতীয়তাবাদীদের (গণজাগরণ মঞ্চ) এবং কট্টরপন্থী জামায়াত-ই-এর মধ্যে কুৎসিত দ্বন্দ্বের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছিল।অন্যদিকে ইসলামী। আর সে সময় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে হয়েছিল। ভারতকেই বেছে নিতে হয়েছে। এই ক্ষেত্রে অবস্থান সম্পর্কে দ্বিধা করা এবং তাই সুযোগ হারানো সত্যিই বিপজ্জনক ছিল।” ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক রক্ষায় ক্ষমতাসীন দল কী করছে তার একটি ভালো প্রদর্শন ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রপন্থী আছে। আমার দেশ সারা বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, আপনার দেশে যেমন খারাপ মানুষ আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুক্ষণ আগে আপনার দেশের একজন ভদ্রমহিলাও কিছু বলেছেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। আমরা আপনাকে এই ধরনের সুরক্ষা দিচ্ছি। এটা আপনাদের ভালোর জন্য, আমাদের জন্যও ভালো। আমরা যদি কথা বলি, তাহলে চরমপন্থীরা আরও সোচ্চার হবে এবং আরও বেশি কথা বলবে, এতে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।
আমাদের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এ ধরনের কাজ করব না, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কোনো ধরনের উসকানি দেব না। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে কিছু মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনোভাবেই এটা প্রচার করিনি। এর কারণ হল কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু জঙ্গি আছে যারা এই অজুহাতে আরও অপরাধ করবে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে আছে. অনেকে আমাকে ভারতের দালাল বলে, কারণ অনেক কিছুই ঘটে, আমি কোনো শক্ত বক্তব্য দেই না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে যখন ব্যাপক তোলপাড়, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতকে ক্ষমতায় থাকার অনুরোধ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকার কাউকে এ ধরনের দায়িত্ব দেয়নি। এটা যে (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। সেটা আমাদের সরকারের বক্তব্য নয়, দলেরও নয়। বোঝা যাচ্ছে কাদের সাহেব ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটা তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। গতকাল রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নিশ্চয়ই অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বিষয়ে কী বলা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাদের সাহেবের বক্তৃতায় ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়নি, ড্যামেজ বাড়িয়ে দিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে অনেক নতুন প্রশ্ন তুলেছেন বলেই বলছি।
আমরা কি বিশ্বাস করি যে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছাড়া একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মনে যা আসবে তাই বলবেন? যে কোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার ভারতকে তা করার জন্য তিনি কি সম্পূর্ণ স্ব-প্রণোদিত হতে পারেন? আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সত্যিই সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভারতের কাছে এমন অনুরোধ করেন, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেটা কি তার সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ নয়? তার এই ‘ব্যক্তিগত’ বক্তব্য কি গত কয়েক বছরে তার দলের কর্মকাণ্ড ও চিন্তা থেকে ভিন্ন? যদি অন্য কিছু না ঘটে (যা আমি মনে করি না) তাহলে কি জবাবে বক্তৃতার পরপরই তাকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল না বা অন্তত একটি ব্যাখ্যার জন্য বলা উচিত ছিল না? ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকারের কিছু ভিত্তি দরকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় আসে তা জনগণের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এদেশের জনগণ তাদের সকল গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা হারিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে, জনপ্রিয় ম্যান্ডেট ছাড়াই এই সরকারকে ক্ষমতায় আনা হয়েছে এবং এর কিছু আন্তর্জাতিক মিত্র এবং দেশীয় আমলা এবং আইন প্রয়োগকারীরা টিকিয়ে রেখেছে। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিরোধী দলকে অক্ষম করতে নির্বিচারে বিচার থেকে শুরু করে এমন কোনো নির্যাতন নেই যা এই সরকারের আমলে হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা খুবই স্পষ্ট যে, শুধু নিজ দেশের জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টিই নয়, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সরকার যে ধরনের আচরণ করেছে তাও স্পষ্ট।
তবে যে যাই বলুক, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার সততার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের মানুষ জানে, আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ১৪ বছর পর ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এতটা ক্লিয়ারলি কেউ স্বীকার করেননি। সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হওয়া তো দূরের কথা, ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে মুষ্টিমেয় আসন ছাড়া সবকটি আসনে জয়লাভ করা অসম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় এটা স্পষ্ট যে, দেশের পুলিশ, প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবিচল আনুগত্যও তাদের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে বা রাখতে পারে বলে তারা আর বিশ্বাস করেন না। তাহলে যে দেশের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আছে সেই দেশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া উপায় কী? বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও তার বক্তব্যে অটল থাকার জন্য আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আবদুল মোমেন বলেন, “আমি জেনে শুনেই বলেছি। আমি আমার বক্তব্য থেকে নড়ছি না। আমি ভুল কিছু বলিনি।” তিনি যোগ করেন, “আমি আরও বলব।
আমাদের তাদের (ভারতের) সহযোগিতা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দাতব্য নয়। এটা স্বাভাবিক যে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব স্বার্থ অনুযায়ী কাজ করবে এবং তার নিজের লাভ-ক্ষতির হিসাব করবে। এই কারণেই যারা আজ সবচেয়ে ভালো বন্ধু তারা সবচেয়ে খারাপ শত্রুতে পরিণত হতে পারে। ভারতের কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা না নিয়ে এদেশের সরকারকে যদি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ভারতকে কিছু দিতে হয় তার দায়ভার ভারতের নয় বরং সরকারের যা রাষ্ট্রবিরোধী, দেশবিরোধী, জনস্বার্থবিরোধী। বাংলাদেশ কেন বহু আলোচিত কিন্তু অসমাপ্ত ইস্যুতে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না বা নিজের স্বার্থ বুঝতে পারে না? ধন্যবাদ মোমেন সাহেব; প্রকাশ্যে বলা, স্বীকার করা, যা জানা কিন্তু গোপন। নিজেকে প্রকাশ করার এই সৎ সাহস সবার নেই।
এ দিকে বহুল বিতর্কিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে এখন নতুন করে ভাবতে বসেছে সরকার। তাকে নিয়ে আসলে কি করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে ক্ষমতাসীন দল। জানা গেছে আসন্ন ভারত সফরেও নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাকে।