Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Entertainment / অনেক বেশি কানেকটেড করতে পারি, প্যাচঘোচ কম বুঝি: মিথিলা

অনেক বেশি কানেকটেড করতে পারি, প্যাচঘোচ কম বুঝি: মিথিলা

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা শোবিজ অঙ্গনের সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ। তিনি বিনোদন অঙ্গনের পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরী করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ব্রাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এই কাজ এবং অভিনয় জীবন নিয়ে বেশ কিছু কথা জানালেন।

রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে অভিনেত্রী হিসেবেই সবাই চেনেন। তবে অনেকে হয়তো জানেন না অভিনয়ের বাইরে তিনি চাকুরীও করেন। ব্রাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। মূলত তারকা খ্যাতির কারণেই তার এই পরিচয় ঢাকা পড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাজে সূদুর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে অবস্থান করছেন। ব্যস্ততার এক ফাঁকে সেখান থেকেই কথা হলো মিথিলার সঙ্গে। সিয়েরা লিওনে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? মিথিলা বলেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের সহায়তা করার জন্যই এখানে আসা। আমাদের প্রতিষ্ঠান ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল সিয়েরা লিওন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে। কী কী কাজ করতে হচ্ছে? মিথিলা বলেন, প্রথম সপ্তাহটা মন্ত্রণালয়ের স্টাফদের সঙ্গে কর্মশালা করেছি। এই সপ্তাহটা ফিল্ড ভিজিট ও আরও বিভিন্ন মিটিংয়ে যাবে। চাকুরি আর অভিনয় দুইটা একসঙ্গে বহু বছর ধরে করছেন। কোন পেশাটা প্রাধান্য পায় বেশি? মিথিলা বলেন,

মাস্টার্স শেষ করেই ব্রাকে জয়েন করি। আর অভিনয়টা তো ছাত্রজীবন থেকেই করছি। যদিও ব্রাকের কাজটাই আমার প্রধান পেশা। সেটাকে প্রাধান্য বেশি দেই। তার মাঝেই সময় বের করে অভিনয় করি। কিন্তু কোনোটাকে ছাড়বো বা ছেড়ে দিতে পারবো বলে মনে হয় না। কারণ চাকুরি, অভিনয় দুটোই আমার কাছে পেশার থেকে নেশা বেশি। শিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের ভেতর নতুন কোনো উপলব্ধি এসেছে? এ অভিনেত্রী বলেন, ১৪ বছর ধরে শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ব্রাকেই ১৩ বছর। এছাড়া শিক্ষকতা করেছি। শিশুদের নিয়েই আমি সারাজীবন কাজ করেছি। উপলদ্ধি আসলে নতুন কিছু নয়। আমার কাছে মনে হয়, শিশুরা বড়দের থেকে অনেক বেশি বোঝে। সেই বুঝটা সরলতার সঙ্গে হয়। কারণ শিশুরা সরল! তাদের মধ্যে প্যাচঘোচ নেই। এটা একটা বিস্ময়কর জিনিস। যার কারণে শিশুদের অনেক বেশি কানেকটেড করতে পারি। কারণ আমি নিজে প্যাচঘোচ কম বুঝি। দেশে ফিরবেন কবে? মিথিলা বলেন, এই মাসের শেষেই ইনশাল্লাহ দেশে ফিরবো। ফিরেই তো হাতে থাকা সিনেমার কাজ গুলোতে হাত দেবেন? অভিনেত্রীর উত্তর- কলকাতার ‘নীতিশাস্ত্র’ সিনেমার ডাবিং বাকি। সেই ডাবিংটা করতে হয়তো কলকাতায় যেতে হবে। আর বাংলাদেশে ‘জলে জ্বলে তারা’ নামে যে সিনেমাটা করলাম, সেই সরকারি অনুদানের সিনেমারও ডাবিং শেষ হয় নি। সেটারও কাজ আছে। ফিরে এই কাজগুলো শেষ করবো।

প্রসেনজিতের সঙ্গে ‘আয় খুকু আয়’ নামে একটা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমা নিয়ে আপনি এখনও কিছু বলেননি। সিনেমাটি নিয়ে আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চাই। মিথিলা বলেন, ছবিটা নিয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে বলা বারণ আছে। এতটুকুই বলবো, একটা বিশেষ চরিত্রের কাজ করবো এ সিনেমায়। আসলে বুম্বা দা আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমিও খুব শ্রদ্ধা করি। তো ওনার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগটা তো দারুণ কিছু নিশ্চয়ই। তাহলে কেন নয়। নতুন কোনো কাজের খবর আছে? মিথিলা বলেন, একটা ওয়েব সিরিজ ও সিনেমায় কাজের কথা চলছে। কিন্তু কোনটা কখন হবে এখনও জানি না কিছুই।

অসংখ্য নাটক এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তার অভিনীত কাজ গুলো দর্শক মাঝে বেশ প্রসংসিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে তিনি নতুন একটি সিনেমায় কাজ করছেন। প্রসেনজিতের সঙ্গে ‘আয় খুকু আয়’ নামে একটা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও একটা ওয়েব সিরিজে তার কাজের কথা চলছে।

About

Check Also

অবশেষে তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *