পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা দূর করতে এবং স্বজনদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অনেকেই পাড়ি জমান সেই সুদূর বিদেশে। বিদেশের মাটিতে যেয়ে তারা অনেক কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে থাকে আর সেই অর্থ দিয়ে মনের মাঝে পোষণ করা স্বপ্নগুলো পূরণ করেন। তবে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় না থেকে যায় অপূরণ। সম্প্রতি ডুবাই থেকে বিয়ে করার জন্য দেশে এসে বিমান বন্দরে নেমে দেখেন লাগেজের মালামাল গায়েব।
ঢাকার ছেলে মির্জা সেলিম, ১৩ বছর ধরে থাকেন দুবাইয়ে। পরিবারের চাওয়া অনুযায়ী বসতে যাচ্ছেন বিয়ের পিঁড়িতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন গত ৮ জুলাই। বিয়ে বলে কথা, বিয়ে উপলক্ষে বিদেশে কেনা নানান জিনিসপত্রে ভর্তি ছিল লাগেজ। কিন্তু ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সেই লাগেজ খুঁজে পাননি সেলিম। চার দিন পর লাগেজ ফিরে পেলেও প্রায় ১০ কেজি ওজনের জিনিসপত্র গায়েব। শুধু সেলিম নন, প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তিতে পড়ছেন তার মতো অনেক প্রবাসী।
ভুক্তভোগী মির্জা সেলিম দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ৮ জুলাই আমি দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে (G9516) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিকে আসি। স্থানীয়ের দল বেল্টে আমারজ পাইনি। রাত পর্যন্ত সন্ধ্যা পর্যন্ত, কিন্তু খবর আর পাইনি। এয়ার এরাবিয়ার অফিসাররা আমাকে বলেছিল, পার্টিজ পরেরদিন বাড়িতে উপস্থিত হতে হবে।
সকালের দিনক্ষণে খবর পাওয়া যায় কিন্তু দেখা না হয় সেলিম। তাকে ১২ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমি এয়ার এরাবিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কেউ ফোন ধরি। ১২ জুলাই নম্বরে কুরিয়ার এসএ মোবাইল থেকে ফোন আসে, তারা তাদের অফিস থেকে আমাকে সদস্য সংগ্রহ করতে বলে।
স্থানীয় দনিয়া এলাকায় থাকেন প্রবাসী মির্জা সেলিম। যাত্রাবাড়ী এলাকায় এসএএ-এর অফিসে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে বাস্তবে নিজের বাড়িতে গিয়ে বিস্ময়কর রূপার অলংকার, পার্টিঘর, কসমেটিক সহ প্রায় ২৫ হাজার সংখ্যাবস্তুপত্রবড়ি। চাজ চেইন ভাঙ্গা।
মির্জা সেলিম বলেন, এসএ সদস্যের বিভিন্ন তারা বিভিন্ন দলে আমার দলের জন্য বেছে নিন। দেখলাম আমার সদস্য প্লাস্টিক দিয়ে র্যাপিং করা, কিন্তু আমি দলের সদস্য র্যাপিং করি। এসএ নেতার কর্মীরা জানালেন, এ খবর থেকে তাদের কাছে উপস্থিত হন। জে র্যাপিং করা সাধারণ তৎক্ষণাত আমি আর বিষয়টা দেখতে পারি। বাড়ি গিয়ে খবর আমার চেইঞ্জিন ভাঙ্গা, জিনিসপত্র নেই।
ক্ষোভ মির্জা সেলিম বলেন, স্বামী পরিবারের পরিবার-জন্মের কিছু জিনিসপত্র আনপরিপত্রের জন্য, রাষ্ট্রব। এমন যদি পুরো পুরোটা হারিয়েছে, তাহলে ভিন্ন কথা। দলজে কিছু আছে, কিছু নেই কেন? কেউ না কেউ কোনো জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। আমাদের টিকিটের টাকা থেকে নিরাপত্তার নিরাপত্তা, উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষমতা সরকার জানাতে। শ্রদ্ধা কি নিরাপত্তার নমুনা। আমি প্রথম এমন ভোগী এমন না— শত শত প্রবাসী হয়রানির শিকার, প্রশ্ন হচ্ছে। আমি শাহজালাল আন্তর্জাতিক অপরাধী অপরাধীকে লিখিতভাবে হজরত অবস্থায় আছি। আমিলেলিত প্রবাসী কল্যাণ ও দেশিক কর্মসংস্থানের স্থান, বেসামরিক বিমান হামলা ও পর্য্যটন বৈটনে শান্তিতে আছি।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক ব্যাগেজ লেফট-বিহাইন্ড এক্সপ্লোর পরিচালনা সংখ্যাকে এ ভোগান্তি পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত সবচেয়ে (লোকস্ট কস্ট) এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে বেশি ব্যাগেজ লেফট-বিহাইন্ড হয়। বর্তমানে শুধু ধরনের এয়ারলাইন নয়, এয়ারলাইনের ক্ষেত্রে ব্যাগেজ লেফট-বিহাইন্ডল্ট বিহাইন্ডবিডি। এর জাজিরা এয়ারওয়েজ, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, মত এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই, এয়ার এরাবিয়া, ওমান এয়ার, গালফ এয়ার, কুয়েত এয়ারেজ ক্ষেত্রে ব্যাগেজ লেফটবিহাইন্ড বেশি হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এয়ারলাইন লেফটবিহাইন্ড উইন্ড পার্টির পরিবারের বাড়িতে কুরিয়ার ভাইদের তৈরি। তবে অনেক অভিযোগ করছেন কুরিয়ার সংগ্রহ করা থেকে মাল চুরি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, কোনও যাত্রীর ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য এয়ারলাইনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রী যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন জানালে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
প্রসঙ্গত, বিমান বন্দর থেকে মালামাল গায়েব হয়ে যাওয়া আসলেই খুব দুঃখের একটি বিষয়। বিয়ে করবে বলে বিদেশ থেকে লাগেজে করে অনেক মালামাল নিয়ে আসে। তবে বিয়ের জিনিসপত্র গায়েব হয়ে যাওয়াতে তার মনটাই একেবারে ভেঙ্গে গেছে।