ইভিএম নিয়ে নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বচনের আগে থেকে ইভিএমএর ব্যবহার নিয়ে অনেক বিতর্কের মুখে পড়েছে সিইসিকে। সেটাই আবার নাড়া দিয়ে উঠেছে ভোটের দিন।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ভোটার আম্বিয়া খাতুন। সকাল ৮টায় মৌকরণ বিএলপি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন তিনি। কিন্তু বুথে অনেক চেষ্টা করেও তার আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। তিনি ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে বারবার সাবান পানি ও হেক্সিসোল দিয়ে পরিষ্কার করছেন।
এ সময় আমি তার কাছে গেলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “ভোট দিতে সকালে কেন্দ্রে এসেছি। ভেতরে গিয়ে ভোট দিতে পারিনি। তাই সাবান দিয়ে আঙুল ঘষে নাও। দেখি ভোট দিতে পারি কিনা। শুধু আম্বিয়া নয়, ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তার মতো বয়স্ক ভোটারদের আঙুলের ছাপ মেলে না। এদের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি। ভোটের সময় তারা বিপাকে পড়েছেন। তবে বিকেলে তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলে না, প্রাপ্তবয়স্করা সমস্যায় পড়েছেন
মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আশা বেশ কয়েকজন প্রবীণ ভোটার বলেন, আমি অনেক আনন্দ নিয়ে ইভিএমে ভোট দিতে এসেছি। কিন্তু হাতের ছাপ না মেলালে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারি নাই। এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। আমি বয়স্ক মানুষ আমাকে আবার পরে আসতে বলেছে। বার বার আসাকি আমার পক্ষে সম্ভব।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খালিদ বিন রউফ জাগো নিউজকে বলেন, আঙুলের রেখা না থাকায় অনেক সময় সমস্যা হয়। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরপর আরও সমস্যা হলে কমিশনের অনুমতি নিয়ে যাদের হাতের ছাপ মেলেনি তাদের বিকেলে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া সকালে কুসিক নির্বচনে সকালেই ঘঠে যায় অপ্রশিত কান্ড। যেখানে প্রায় ৪৫ মিনিটির মত বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। কারন ছিলো হটাৎই নষ্ট হয়ে যায় ইভিএম। এরপর সারর্ভিসিংএর লোকেদের খবর দিয়ে নির্বাচনের কার্যক্রম আবারও শুরু হয়।