বিনোদন অঙ্গনের মানুষদের নিয়ে কিছু দিন পর পর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে থাকে কুচক্রি মহল। এর আগেও বেশ কয়েকজন নামিদামি তারকার নামেও এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। আর এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। এ খবরে রীতিমতো বিব্রত প্রকাশ করেন গুণী এই অভিনেতার পরিবার।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সকালে জায়েদ খান সঙ্গে আলাপকালে তিনি সংবাদ মাধ্যকে বলেন, আমাকেও একবার মেরে ফেলা হয়েছিল। এমনই একটি গুজব ছড়ানো হয়, ফেসবুক-ইউটিউবের খবর বানিয়ে বলা হয় আমি নাকি মারা গেছি, কেমনটা লাগে?
এর আগে একাধিকবার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। এরপর অনেক তারকারই মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছিল, তবে সবচেয়ে বেশিবার ছড়ানো হয় জনপ্রিয় অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পীদের নিয়ে এমন গুজব বারবার ছড়ানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকালেই মিশা ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলো। আমরা সামনের সপ্তাহেই সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে বসব। যারা গুজব ছড়ায় তাদের খুঁজে একটি তালিকা করা হবে, অন্তত ৪-৫টাকে ধরলেই বাকিরা সোজা হয়ে যাবে।’
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘যারা এসব করে তারা আসলে মানুষ নয়, এমন ঘৃণ্য কাজ কিভাবে করতে পারে একটা মানুষ? একবার আমার সঙ্গেও এমন হয়েছে, ইউটিউবে একটি খবর ছড়ানো হয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে- জায়েদ খান মারা গেছে। অনেকে আবার ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছে; মর্মান্তিক হলো- এসব আবার আমাকে দেখতে হচ্ছে। মানুষের মানসিকতা কোন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে!’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার (আলমগীর) মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেয়ে আখি আলমগীর। সম্প্রতি কয়েকদিন আগেও আলমগীরের নামে ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদ করেন আখি আলমগীর।