নাটক ও মডেলিংয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। অভিনয় করে শোবিজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি।
তবে তিন মাসেরও বেশি সময় অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই বিরতি ভেঙে ‘তোমারি বিরহে রহিব বিলীন’ নাটকের মাধ্যমে আবারও কাজে যোগ দেন প্রভা। সম্প্রতি নাটকটির শুটিং শেষ করেছেন তিনি। এই নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
হঠাৎ অভিনয় কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রভা বলেন, আমার অনেক অব্যক্ত অভিযোগ, অব্যক্ত দুঃখ আছে। অনেক মানুষের দেওয়া অকারণ অপমান হজম করেছি। এসব কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
তিনি বলেন, অভিনয় জগতে যখন কাজ করতে আসি তখন ভেবেছিলাম খুব স্মার্টলি পা রাখতে হবে। কোনো এক সময়ে নানা ধরনের রাজনীতির শিকার হব তা ভাবিনি। মিডিয়ায় কাজ করলে মেয়েটা খারাপ বা মেয়েটাকে অনেক কথা শুনতে হবে ভাবিনি। অন্যান্য বিষয়ও আছে।
আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, অভিনেতা থেকে ইউনিট পর্যন্ত প্রায় সবারই ফেসবুক পেজ, টিকটক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এসব কারণে শুটিং সেটে স্মার্টফোনের অপব্যবহার হয়। এছাড়া শুটিং দেখতেও অনেকে আসেন। এবার আমার শুটিং সেটে সবাইকে বলা হলো মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না। কারো ছবি তুলতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে।
কিন্তু দেখতাম নাটক-টেলিছবি সম্প্রচারের আগে দূর থেকে ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউবে রিলিজ হয়। অপেশাদাররা এখন আর ক্যামেরা ধরতে জানে না, তাদেরকে অশ্লীলভাবে ধরে রাখতে দেখা যায়। এটা দেখে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি। আমি আমার অভিনয় দক্ষতা দেখাতে আসছি। আমি এখানে আমার প্রোপশন(অঙ্গসৌষ্ঠব) দেখাতে আসিনি। এটা আমাকে খুব আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।
এছাড়া ব্যক্তিগত কিছু বিষয় উল্লেখ করে প্রভা বলেন, যাদেরকে সহশিল্পীর চেয়ে ভালো বন্ধু মনে করতাম তাদের কিছু কাজও আমাকে কষ্ট দেয়। আমি আরও দেখেছি যে কিছু সহ-শিল্পী আছেন, তাদের ফেসবুক, টিক টোক এবং ইউটিউব রয়েছে, তারা ভিউ পাওয়ার জন্য শুটিং সেটে এমন কিছু কাজ করেন, যার কোনও অনুমতি নেওয়ার কথা তারা ভাবেননি।
এসব বিষয়ে নিজের বাজে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই আমার এক সহকর্মীকে বিনা অনুমতিতে এ ধরনের কাজ করতে দেখেছি। তার সহকারী ক্যামেরা চালাচ্ছেন, কিন্তু এটা শুট করার মতো কিছু নয়, যা নিয়ে আমি বিব্রত বোধ করি। ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের পর বোঝা গেল সহশিল্পী ইচ্ছা করেই এসব করেছেন। আমি প্রায়ই সেই সহশিল্পীকে আরও অনেকের সাথে এমন আচরণ করতে দেখি। এই ভিডিও ক্লিপগুলো ইউটিউব বা টিক টোকে দেখতাম, মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিলাম।