দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও বিরাজ করছে ভাইরাস ভীতি। এই ভাইরাসে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ ছিল দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পড়েছে। তবে এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন শ্রেনীতে অটো পাসের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রিইডের পরবর্তী ক্লাসে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে এই অটো পাস নিয়ে সমাজে নানা ধরনের প্রতিক্রীয়া রয়েছে। সম্প্রতি এই অটো পাস নিয়ে বেশ কিছু কথা বললেন বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীঘি।
চলমান মহামারির কারণে দীর্ঘ দিন দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেডের ভিত্তিতে ‘অটো পাস’ দিয়েছে সরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে, বিশেষ বিবেচনায় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। তবু কেউ কেউ ‘অটো পাস’ পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মজা করে কথা বলেন, যা অযৌক্তিক বলে মনে করেন চিত্রনায়িকা ও চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। আসছে ডিসেম্বরের ২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি অংশ নেবেন এই পরীক্ষায়। প্রসঙ্গক্রমেই ‘অটো পাস’ নিয়েও কথা বলেন ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবির এই নায়িকা। দীঘি বলেন, কোভিডের কারণে সরকার গতবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অটো পাস দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই মশকরা করেন! এটা ঠিক না। বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখতে এটা হয়তো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তই ছিলো, কিন্তু এটা নিয়ে মজা করা একদমই ঠিক না। সম্প্রতি স্টার সিনেপ্লেক্সে চরকি’র ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ ফিল্মের প্রদর্শনীতে উপস্থিত থেকে দীঘি বলেন, ‘বিভিন্নজন বলে থাকে অমুকে অটো পাস। এই অটো পাস বলা অযৌক্তিক লাগে।’ দীঘি আরও বলেন, শুটিং বন্ধ থাকলে অনেকদিন পর শুটিংয়ে গেলে ক্যামেরার সামনে আন-ইজি লাগে। পরীক্ষাও অনেকদিন পর হলে একই ফিলিংস হয়। যারা অটো পাস পেয়েছে এটা খারাপ কিছু না। অবস্থা, পরিস্থিতি বুঝতে হবে সবাইকে।
স্কুল কলেজ খোলায় জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরেছে উল্লেখ করে দীঘি বলেন, স্কুল কলেজ খোলা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একটি ধাপ। সবাই আবার ক্লাসে হাজির হচ্ছে। তাই আমি মনে করি পৃথিবী সুস্থ হওয়ায় এবার পরীক্ষা হবে। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি রাজধানীর স্টামফোর্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন দীঘি। আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেবেন। দীঘি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নিকটে। এর আগে চাইছি না সিনেমায় ব্যস্ততা থাকুক। ‘শ্রাবণ জোসনা’ সিনেমার কিছু কাজ বাকি। পরীক্ষা দিয়ে বাকি কাজ শেষ করবো। ২০১৯ সালে স্ট্যামফোর্ড স্কুল ও কলেজ থেকে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেন দীঘি। চলচ্চিত্র পরিবারের সন্তান দীঘির বাবা সুব্রত বড়ুয়া ও মা প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দোয়েল। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’ তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।
ছোট থেকেই বিনোদন অঙ্গনের সাথে যুক্ত রয়েছেন দীঘি। তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এবং দর্শক মনে বিশেষ জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান সময়ে তিনি নায়িকা হিসেবে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখনও পড়াশুনা করছেন।