পরিবারের লোকজন অনেকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাননি। তাই তারা তার বন্ধুদের খোঁজ নিতে বলেন। বন্ধুরা এসে ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আর পুলিশ এসে একজন বিমানকর্মীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ এক সুইপারকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
নিহত বিমানবালার নাম রূপল ওগ্রে। ভারতের ছত্তিশগড় প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি পাওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিলে মুম্বাইয়ে চলে আসেন। তিনি সেখানে তার বোন এবং তার প্রেমিকের সাথে থাকতেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের শহরতলির আন্ধেরিতে তার অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে একজন প্রশিক্ষণার্থী এয়ার হোস্টেসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এয়ার ইন্ডিয়াতে পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি মুম্বাই চলে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রুপাল তার প্রেমিক ও বোনের সঙ্গে আন্ধেরির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সম্প্রতি তার বোন এবং তার প্রেমিক দুজনেই মুম্বাই ছেড়ে চলে গেছেন। আর তখনই তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, রুপালের পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে গত রোববার তাদের বন্ধুদের ফোন করেন। ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান রুপালের বন্ধুরা। কয়েকবার ধাক্কা দিয়েও কেউ দরজা না খুললে রুপালের বন্ধুরা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে রুপালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুপালের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যেই ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম বিক্রম অটওয়াল এবং তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঝাড়ুদার হিসাবে কাজ করতেন। এই ঘটনায় বিক্রমের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় রূপলকে উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুপালের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম বিক্রম অটওয়াল এবং সে অ্যাপার্টমেন্টে ঝাড়ুদারের কাজ করত। এ ঘটনায় বিক্রমের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, বিক্রমের মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের ধারণা, রুপালের ওপর হামলার পর সে হয়তো প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। আর সেই কারণেই মাথায় আঘাত পান বিক্রম।