বর্তমান সময়ে দেশে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে প্রতারনা করছে একটি চক্র। এবং হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমানের অর্থ। এতে করে সাধারন মানুষ উপকৃত না হয়ে ননা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে প্রতারনাকরীদের শাস্তির সম্মুখীন করতে নতুন আইনের খসরা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
অনুমতি ছাড়া ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইনে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখানে একটি বোর্ড থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) মতো একটি কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিল একাডেমিক বিষয়গুলো দেখভাল করবে। এদিন মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ চিকিৎসা অ্যাক্রেডিটেশন আইনের খসড়াও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নামে অনেকেই নিজেদের নামের পাশে ব্যবহার করছে উচ্চতর ডিগ্রীর উপাধি। তবে এই বিষয়ে বেশ সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের নামের পাশে উচ্চতর ডিগ্রীর উপাধি ব্যবহারের ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।