সগম্র বিশ্বের মোড়ল খ্যাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। এমনকি এই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন প্রথম শ্রেনীর প্রশাসন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগকে কল্পনাপ্রসূত বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে কোনো প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হ/ত্যা/কা/ণ্ড, ছয়শোর বেশি লোক অদৃশ্য (গু/ম) হয়েছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হ/ত্যা/কা/ণ্ডের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দফতর)। এর মধ্যে র্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেক বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি অন্য এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। মার্কিন রাজস্ব দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেনজীর আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা বিরাজ করছে। এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও নানা ধরনের কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।