বর্তমান সময়ে পরকীয়ার সম্পর্ক যেন হরহামেশাই ঘটছে। যার কারণে অনেক সংসারে দেখা যায় ভাঙ্গন, সৃষ্টি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির। প্রযুক্তির কল্যাণের জন্য এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। যার কারণে সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়টিও বেড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় আপন জনের মধ্যেও এই ধরনের পরকীয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। যার কারণে বিপাকে পড়েন আপনজনেরাই। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরের একটি এলাকায়।
ঠিক যেন ‘ভালোবাসার গল্প’! স্বামী কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ অবস্থায় ভাগ্নে বাড়িতে যাওয়া আসা চালাতেন। তারপর থেকে মামি তার ভাগ্নের প্রেমে পড়েন। বিষয়টি স্বামীর নজরে আসে। তিনি তার স্ত্রী এবং ভাগ্নেকে চরম ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এর পর তিনি তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
“ভাগ্নেকে ভালোবাসি”, মামির এই স্বীকারোক্তির পর আর বাধা দেননি স্বামী। মামী আর ভাগ্নে পালাচ্ছিল। কিন্তু, যুবকের মামা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। এরপর একটি মন্দিরে স্ত্রীর সঙ্গে ভাগ্নের বিয়ে দেন। এ ঘটনায় বিস্মিত স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তিকালোনী এলাকায়। জানা যায়, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনীর বধূ তার ভাগ্নের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টির আভাস পান প্রতিবেশীরা। শুক্রবার ওই গৃহবধূ তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে বধূর স্বামীকে খবর দেয়। বিষয়টি সামনে আসার পর নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু, সবাইকে পেছনে ফেলে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ান বধূর স্বামী। ভাতিজা ও তার স্ত্রীকে পুলিশের হাত থেকে মুক্ত করার পর তাদের স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি তার ভাগ্নে ও তার স্ত্রীকে বিয়ে দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনীর বাসিন্দা বিপুল সরকারের সঙ্গে কয়েক বছর আগে সিঁথির বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে হয়। কাজের কারণে বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হতো বিপুলকে। এ সময় তার ভাইপো ভানু বর্মণ তার বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। তাদের সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে অনেক গুঞ্জন শুরু হয়ে ছিল।
বিপুল বলেন, “অনেকদিন এসব শুনেছি কিন্তু পাত্তা দেইনি। বাইরে কাজ করি। মাঝে মাঝে আসলে বউও অশান্তি করত।” তিনি আরও বলেন, “ভাগ্নের সঙ্গে স্ত্রীকে আপ’ত্তিকর অবস্থায় দেখেছি। এরপর তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। দুজন প্রেম করলে কি করবো? ভাণু ভাগ্নে হয়। কারন এ নিয়ে ঝামেলা না পাকিয়ে তাদের এক করে দেওয়া ভালো। আমাদের ছয় বছরের একটি ছেলে আছে। ছেলেটা আমার সাথেই থাকবে।
যদিও এই বিয়ে বৈধ নয়। ভারতীয় আইন হিন্দুদের মধ্যে বহুবিবাহ অনুমোদন করে না। সেক্ষেত্রে যদি সে তার স্বামীর কাছ থেকে বৈধভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়, এমনকি সে যদি অন্য পুরুষকে বিয়ে করে তাহলেও তা বৈধ নয়।
অন্যদিকে অভিযুক্ত নববধূ বলেন, ‘আমি ভাগ্নের সম্পর্কে ভানুকে অনেক ভালোবাসি। তাকে আমি কোনভাবেই ছাড়তে পারব না। এটা আমার জন্য অনেক কঠিন। আমি তার সাথে সংসার করতে চাই। যেহেতু আমার প্রাক্তন স্বামী এ বিষয়টি মেনে নিয়েছেন, তাই আমার কোন আপত্তি নেই।