বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলেন বাংলাদেশের জাতীর পিতা। তার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে পেয়েছে স্থান। এইটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক বড় একটি গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজন নেতা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সম্প্রতি জানা গেছে জাতীয় স্লোগানে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করতে দেওয়া হয়েছে আইনি নোটিশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে জয়বাংলাকে জয় বঙ্গবন্ধুকে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। গেজেটে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে জয়বাংলাকে জয় বঙ্গবন্ধুকে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।
নোটিশের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখনই জয় বাংলা উচ্চারিত হয়, তখনই জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত হয়। স্বাধীনতার এই স্লোগানটি ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু একটি স্লোগান; আলাদা কোনো স্লোগান নয়। .
হাইকোর্টের এক রায়ে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হয়েছে। এটা এখন আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশের জবাব না দিলে আমি হাইকোর্টে রিট দায়ের করব। চলতি বছরের মার্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ‘জয় বাংলা হবে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান। দেশ-বিদেশে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সাংবিধানিক পদাধিকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠান শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেবেন।
এছাড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভা-সেমিনারে দৈনিক সমাবেশ ও বক্তৃতা শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু রয়েছে প্রত্যেকটি বাংলার হৃদয়ে। যতদিন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা রহিবে বহমান ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বাংলার মানুষ স্বরণ করে যাবে অতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের সহিত। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বিশ্বেও ছড়িয়ে আছে বাংলার এই মহান নেতার নাম।