নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে নিজের সততার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ প্রার্থী ড. তৈমুর আলম খন্দকার।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার দিঘী বারাবো এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসভা করেন তিনি। এ সময় পথচারী, দোকানদার, রিকশাচালক, যাত্রী ও এলাকাবাসী লিফলেট তুলে দেন এবং সোনালী আঁশ প্রতীকে নিজেদের জন্য ভোট চান। তিনি তাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দেন।
পরে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে তার আধ্যাত্মিক সংযোগ ও সততার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তৈমুর আলম খন্দকার এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিজেকে গরীবের দুঃখীদের মজলুম নেতা দাবি করে অঝোরে কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার মতো সৎ মানুষ কেউ দেখাতে পারবে না। আমি একজন নগণ্য প্রার্থী। মাওলানা ভাসানীর নামে সবাই আমাকে নি/র্যাতিত জননেতা বলে। আমার ৩টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে। রিকশাচালক, রিকশাচালকদের সঙ্গে আমার চলাচল ও সম্পর্ক। টানবাজারে যারা পতিতাদের ওপর নি/র্যাতন করেছে আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি নিজে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। মাসদাইর বাজার, কেউ বলতে পারবে না আমি ১০ টাকা নিয়েছি।’
এ সময় তৈমুর আলম খন্দকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জনগণের জন্য তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং তাদের দুর্দশায় তাদের পাশে থাকার কথা বলতে থাকেন। তিনি বলেন, বন্যায় বাঁধ ভেঙে গেলে চাল-ডাল নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই উপরে আল্লাহ আছেন। মানুষ আমার পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আছেন। আমি রূপগঞ্জে কখনো চেয়ারম্যান ছিলাম না, এমপিও ছিলাম না। তবে মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে আছি। আমি যেমন জনগণের সঙ্গে ছিলাম, জনগণ আমার সঙ্গে থাকবে। ইনশাআল্লাহ বাকিটা জনগণের বিবেকের প্রশ্ন।
তৈমুর আলম খন্দকার পরে বলেন, জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য প্রার্থী পেয়েছে। আশা করি তারা ভোট দিতে আসবে। অনেকে বলছেন বিএনপির এই অবস্থা কেন? শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ড. বি চৌধুরী, কর্নেল অলিকে নিয়ে দল গঠন করেন। তারা দলে থাকতে পারেনি যে কারণে আমি পারিনি।