মায়ের বোন হলো খালা। মানুষের নীতিবোধ যে কতটা খারাপ হয়ে গেছে সেটা আসলে ভাবা যায়না। নিজের আপন খালাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর বাচড়া গ্রামে।
‘ভালোবাসা কোন বাধা নেই’ কিংবা সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সংলাপ ‘মন্তব্য কখনো গন্তব্যে থামে না’ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। ভাগিনা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে খালার হাত ধরে অজানা গন্তব্যে নিয়ে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর বাচড়া গ্রামে প্রেমের জেরে বিয়ে করতে চাচীর সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে স্কুলছাত্র মোঃ রাসেল হোসেন। পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ রাসেল হোসেন পোরজনা ইউনিয়নের চর বাচড়া গ্রামের জেলহক হোসেনের ছেলে। অপরদিকে রাসেলের খালা আল্লাদী খাতুন একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে আল্লাদী খাতুনের পরিবার, রাসেলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চর বাচড়া গ্রামের জেলহক হোসেনের ছেলে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো: রাসেল হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার মায়ের চাচাতো বোন আল্লাদী খাতুন। দুজন একই স্কুলে পড়ার সুবাদে আল্লাদী খাতুনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। খালা-ভাতিজির সম্পর্কের কারণে তাদের ঘনিষ্ঠতাকে সন্দেহ করছে পরিবার। কিন্তু আকস্মিকভাবে আল্লাদী খাতুন ৩১ জুলাই সোমবার স্কুলে যাওয়ার কথা বলে তার স্কুল ব্যাগে বইয়ের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারে। বহিনা রাসেলের হাত ধরে বিয়ে করতে গাজীপুর গিয়েছিলেন আল্লাদী খাতুন। এ ঘটনায় আল্লাদী খাতুনের বাবা সোমবার রাতে শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে মামাতো ভাই রাসেলের বাবা-মা দুজনেই গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত থাকায় রাসেল ও আল্লাদি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে আল্লাদীর পরিবার। কিন্তু বোনের সঙ্গে খালার প্রেমের ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে পর্জনা ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম বলেন, শুনেছি চর বাচড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে আল্লাদী খাতুন মেয়ের জামাইকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, মেয়েটির বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সন্তানকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, খালা হলো মায়ের মত আর সেই খালাকে নিয়ে পালালো ভাগিনা। প্রেমযে কোনো কিছু মানে না সেটা প্রমাণ করে দিল এই জুগল। বিষয়টি সত্যিই খুব দুঃখজনক। এমন ঘটনা ঘটবে সেইটা পরিবারের মানুষেরা কখন কল্পনাও করতে পারেনি।