বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। বাইডেন সরকারের বাংলাদেশ নীতির প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত মার্শা বার্নিকাটকে বিদেশ দপ্তরের পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
কূটনৈতিক মহলের মতে, এটি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বার্তা।
মার্শা বার্নিকাট, যিনি আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তাঁর সময় থেকেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল বলে অনেকে ধারণা করেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন বার্নিকাটসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও তিনজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে ইস্তফা দিতে বলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বার্নিকাটকে সরানোর সিদ্ধান্ত কেবল প্রশাসনিক নয়, বরং এর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরিকল্পনার যোগসূত্র রয়েছে। এর আগে ট্রাম্প তাঁর দেওয়ালির শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলাদেশ নীতির সমালোচনা করেন এবং বাইডেন সরকারের ‘ব্যর্থ নীতি’ উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে বার্নিকাটের অপসারণ এবং ট্রাম্পের বাংলাদেশ নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে অনেকের কৌতূহল। ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরে ওয়াশিংটনের নীতিতে কী পরিবর্তন আসে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, তা নিয়ে বাংলাদেশজুড়ে গভীর আগ্রহ রয়েছে।
এর আগে, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের তহবিলে মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্রঋণ খাতের বিশেষজ্ঞ ইউনূসের সমালোচনা করেছিলেন। শপথ গ্রহণের পরে ট্রাম্পের বাংলাদেশ নীতি ও তার প্রভাব কেমন হবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।