Monday , December 2 2024
Breaking News
Home / National / যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফলে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুজনের ডিএনএ নিয়ে যা বলল র‌্যাব

যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফলে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুজনের ডিএনএ নিয়ে যা বলল র‌্যাব

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের যুগে বারবার বদলেছে তদন্তকারী সংস্থা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু রহস্যের জট খুলছে না। অভিযুক্তকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। জব্দকৃত আলামত যাচাই-বাছাই এবং ক্ষতিগ্রস্তদের হারানো ল্যাপটপ উদ্ধারের পর্যায়ে তদন্ত আটকে আছে। র‌্যাবের স্বাভাবিক দাবি সত্ত্বেও মামলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিবেদন দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে ১০৫ বার। ফলে সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ৪৮ ঘণ্টা শেষ হবে কত বছরে? কবে ধরা পড়বে খুনিরা? কবে উন্মোচিত হবে রহস্য?

১২ বছর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ৫৮/এ/২ নম্বর বাড়ির ৫ম তলার এ-৪ ফ্ল্যাটে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহরুন রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিচারের আওতায় আনা হবে। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের শেষ দিন ছিল। কিন্তু ওই দিনও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেনি র‌্যাব। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।

হত্যা মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর। এটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এ জন্য বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়েছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফলে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির ডিএনএ থেকে সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়নি। ফলে এখন পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তে নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয়। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সময় লাগছে।

‘আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি’: রুনির ভাই রোমান

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ‘১২ বছরেও কোনো অগ্রগতি হয়নি, আর কবে হবে? আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু এটুকু বলতে পারি তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন না। তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রতি বছরই তারা বলতে থাকে, দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত যেখানে বারবার সময় দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের আর কী বলার আছে! যাইহোক, আপনি যদি জট খোলার চেষ্টা না করেন তবে জট খুলবে না, এটাই স্বাভাবিক।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে মামলা করার পর শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা প্রথমে তদন্ত করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর থানার পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের উপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাবকে। র‌্যাব গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি, দুই ভিকটিম ও তাদের স্বজনদের পরীক্ষার জন্য ২১ জনের ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। মার্কিন গবেষণাগার থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টও পেয়েছে র‌্যাব। সেই রিপোর্টগুলির পর্যালোচনা এবং অপরাধের দৃশ্যের প্রতিবেদনে দুজনের সম্পূর্ণ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে। তবে সন্দেহভাজন হত্যাকারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

About Zahid Hasan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *