নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত, চীনের ওপর ঢাকার নির্ভরতা বাড়বে- এটাই কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। বিস্তারিত হলো, বাংলাদেশে সংঘাতপূর্ণ নির্বাচনের আশঙ্কা করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন বিতর্কিত হলে বা নির্বাচনে কারচুপি হলে তা বড় ধরনের আন্দোলন হতে পারে। গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দিয়েছে ক্রাইসিস গ্রুপ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন ভালো না হলে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো আরো বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। তবে এর ফলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নির্ভরতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ হল ব্রাসেলসে অবস্থিত একটি অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যু/দ্ধ এবং সং/ঘাতের পাশাপাশি সম্ভাব্য সংকটের পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।
মানবজমিন লিখেছেন, বিএনপি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লো/কসমাগম ঘটাতে চায়। ২৮শে অক্টোবরের লিখিত সাধারণ সভা সফল করতে বিএনপিতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সেদিন রাজধানী ঢাকায় জনসমুদ্র তৈরি করতে চায় বিএনপি।
দেশের সব জেলা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীকে ঢাকায় আনা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদল, স্বচ্ছসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মহাসম্বেশে যোগ দেবেন। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
মহাযাত্রায় শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দেবে বিএনপি- সমকালের শিরোনাম। তারা লিখেছেন, গণসমাবেশে লাখো জনতার সমাবেশ ঘটিয়ে আন্দোলনের শক্তির ‘বিশেষ বার্তা’ দিতে চায় বিএনপি। এবার দলীয় সরকারের অধীনে ‘চ্যালেঞ্জ ছাড়া’ ‘একতরফা’ নির্বাচন না হওয়ার বার্তা দিতে চায় দলটি।
বিরোধী দল ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ব্যর্থ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা এবং সরকারের নির্বাচনী কৌশল থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নানা বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে সফল করতে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছে। এ কর্মসূচি দিয়ে টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এক দফা আন্দোলনকে সরকার পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়।