Wednesday , January 15 2025
Breaking News
Home / Entertainment / বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী নীলিশা এখন রাস্তার দোকানদার, জানা গেল তার এমন পরিণতির কারণ

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী নীলিশা এখন রাস্তার দোকানদার, জানা গেল তার এমন পরিণতির কারণ

মনুষ্যের ভাগ্য কখন পরিবর্তন হয় কেউ বলতে পারে না। ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া এক সংগীত শিল্পীর কথা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে। জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পী তার সংসার চালানোর বর্তমানে ফেরী করে বেড়াচ্ছে শহরে। যে ঘটনার একটি ছবি স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় মূহুর্তেই ভাইরাল হয়।

নিলিশা বসাক, ২৪ বছর বয়সী। স্নাতক শেষ করার পর, ভারতের কলকাতার এই শিল্পী পেশা হিসেবে সঙ্গীতে নিজেকে নিয়োজিত করতে শুরু করেন। তিনি কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন মেলা, জলসা, সেমিনারে গান পরিবেশন করেন। নীলিশা কলকাতায় একটি পরিচিত নাম। তিনি কলকাতার অন্যতম সক্রিয় অভিনয়শিল্পী, বিশেষ করে দোল, রথ বা পূজা কুচকাওয়াজের জলসায়। কিন্তু সারা বিশ্বে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় জীবন বদলে গেছে। পেশা বন্ধ। গত মার্চে ভারতজুড়ে অবরোধ ঘোষণার পর থেকে নীলিশার জীবন বদলে গেছে।

ভারতের বেশিরভাগই এখন স্বাভাবিক, তবে জনসমাগম নিষিদ্ধ। তাই ফুটপাতে বসে সংসার সামলাচ্ছেন নীলিশা। সামনে দুধ, পাউরুটি, বিস্কুট, কুকির সংগ্রহ। দুই দাদা-দাদির সাহায্যে, ব্যাঙ্কে সঞ্চয় ভেঙে নীলিশা এখন একজন পুরোদস্তুর দোকানদার।

প্রতিদিন সকাল ৬ টায়, নীলিশা হাতিবাগান হরি ঘোষ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের কাছে ফুটপাতে বসে তার বিকল্প পেশার শাখা খুলে। ভোট হচ্ছে জীবনের নতুন সংগ্রাম।

করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত, জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে না আসা পর্যন্ত এটাই পেশা। তাই আপাতত দোকানদার হিসেবে পরিবর্তিত জীবনে সকাল-বিকালের অজানা উন্মাদনা নীলিশার জীবনে।

অনেকে তাকে এমন পরিশ্রম করতে দেখে প্রশংসা করেছে। তারা গনমাধ্যর উদ্দেশ্যে বলেছেন একজন মানুষ সে সৎ ভাবে উপার্যন করে সংসার চালাচ্চে এতে ক্ষতি কি। কোন কাজই ছোট নয় সেতো ভিক্ষা করছে না। তবে সংগিত জীবন ছেড়ে দোকানদারির জীবন সম্পর্কে নীলিশার গনমাধ্যমে দেওয়া কোন মন্তব্য খুজে পাওয়া যায়নি।

About Nasimul Islam

Check Also

দৌলতদিয়া পল্লীতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন রুনা খান

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান তার অভিনয় দক্ষতা এবং অসাধারণ চরিত্র উপস্থাপনার জন্য দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *