বিএনপিকে সময় বেঁধে দিয়ে হুমকি দিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

জ্বালানি তেলের দাম ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আ.লীগ রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ একটা চাপের মুখে পড়েছে। আ.লীগ বিরোধী দলগুলো এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে একটি বড় ধরনের ইস্যু সৃষ্টির পায়তারা করছে এমনটাই মনে করছে আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না বলে কড়া বার্তা দিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নান.

নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না, আগস্ট মাস চলে যাক তারপরই বুঝবেন কত ধানে কত চাল। আজ ১৩ আগস্ট শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানক এমন হুমকি দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে নানক বলেন, আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখান? লাভ নেই নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে নির্বাচনের পথে আসেন। নির্বাচনে মুখোমুখি হন। আগস্ট মাস চলে যাক, তখনই টের পাবেন কত ধানে কত চাল। তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম’রিক শাসনের পতন ঘটাতে লড়াই করেছে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে পরিষ্কার করে বলতে চাই; নৈরাজ্যের পথ ত্যাগ করুন। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শব্দ বো”মা ব্যবহার করে এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না। এই আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে প্রতিহত করেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে।

নানক আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জিততে পারলে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানাব। আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি পূর্ণ ক্ষমতার ৫ বছর পর শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আমাদের নেতা সত্যের বাহক। শেখ হাসিনা উন্নয়নের বাহক।

উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে ব্যাপকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সেদিক থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনেও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। কারণ জনগণ ব্যাপক পরিমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যার কারণে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে নাজুক অবস্থা বিরাজ করতে পারে।