Sunday , December 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাবা আমি আটকা পড়েছি আমাকে বাঁচাও: বুয়েটের সেই লামিসা

বাবা আমি আটকা পড়েছি আমাকে বাঁচাও: বুয়েটের সেই লামিসা

‘বাবা আমি আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছি, বাবা আমাকে বাঁচাও’ – এই ছিল বুয়েটের মেধাবী ছাত্রী লামিসা ইসলামের শেষ কথা। পরে পরিবারের লোকজন লামিসার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে আর পাওয়া যায়নি। তার বাবা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম শামীম অনেক চেষ্টা করেও মেয়েকে লামিসাকে বাঁচাতে পারেননি।

শুক্রবার ভোরে লামিসার নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এদিকে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। লামিসার বাবা নাসিরুল ইসলাম শোকে পাথর হয়ে গিছেন। সে কথাই বলতে পারছে না।

লামিসার মা আশা করেছিলেন তার মেয়ে বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করবে। তার মায়ের ইচ্ছায় তাকে বুয়েটে ভর্তি করা হয়; কিন্তু মায়ের সেই আশা পূরণ হয়নি।

লামিসা ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে এখনো শোকের মাতম। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর দক্ষিণ ঝিলটুলির বাড়িতে লামিসার ম/রদেহ পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হয়। লা/শ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন লামিসার স্বজনরা।

বাদ জুমা শহরের চকবাজার জামে মসজিদে লামিসার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। লামিসাকে পরে ফরিদপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

লামিসার মামা রফিকুল ইসলাম সুমন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বান্ধবীর সঙ্গে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে যান লামিসা। রাতে আগুন লাগার পর লামিসা তার বাবার মোবাইলে ফোন করে জানায় সে আগুনে আটকা পড়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধারের কথা জানান। পরে পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ভবনের ভেতরে আ/গুনে পুড়ে তিনি ও তার বান্ধবী মা/রা যান।

লামিসা বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। তাদের বাবা নাসিরুল ইসলাম শামীম পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত। নাসিরুলের দুই মেয়ের মধ্যে লামিসা ছিল পরিবারের বড় সন্তান। লামিসার মা ২০১৫ সালে মা/রা যান।

About Babu

Check Also

হাসিনাকে গার্ড করতে গিয়ে আমরা অশান্তি চাই না, ও দেশে ফেরত যাক

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এর পর থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *