Wednesday , October 30 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এইবার ছাড় দিলো না সরকারকে

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এইবার ছাড় দিলো না সরকারকে

দেশের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক বছর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বাজেট করা হয়। আর সেই বাজেটে থাকে সব ধরণের খাতে ব্যয়িত হবে অর্থের পরিমাণ। শুধুমাত্র দেশের না বাজেটের সাথে সাথে উন্নয়ন ঘটানো হয় দেশের মানুষদেরও। সম্প্রতি জানা গেল বাংলাদেশ ন্যাপ সমালোচনা জানিয়ে বলেছেন প্রস্তাবিত বাজেট হলো বৈষম্য আর লুটপাটের দলিল।

অতীতের মতো এবারের বাজেট দারিদ্র্য, অসাম্য ও লুটপাটের দলিল ছাড়া আর কিছুই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সরকার ঘোষিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে প্রতিবছর সরকারকে রাষ্ট্র যে বাজেট দেয় তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বর্তমান নীতির প্রতিফলন ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে সকল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও শাসকশ্রেণী পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে বাজেট প্রণয়ন করেছে। ফলে দারিদ্র্য, অসমতা, লুটপাট, দুর্নীতি ও সম্পদের কেন্দ্রীকরণ ত্বরান্বিত হয়েছে, যা এখন চরমে পৌঁছেছে।

দুই নেতা বলেন, পুঁজিবাদী উন্নয়নের ধারায় জিডিপি বৃদ্ধির ফলে দেশে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। জীবন ও প্রকৃতি ধ্বংসের মেগা প্রকল্পেও ঋণ বেড়েছে। অন্যদিকে খেলাপিদের সম্পদ বেড়েছে। এটা আশা করা ঠিক হবে না যে মধ্যম আয়ের দেশের লোকেরা নিম্ন মজুরিতে কাজ করে শ্রম-নিবিড় রপ্তানিমুখী শিল্পগুলিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে।

তারা বাজেটে শিক্ষা ও কৃষি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, বাজেটে বৈষম্য দূর করতে সরকারের সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা বর্তমানে অনুপস্থিত।

নেতারা বলেন, সরকার প্রতি বছরই প্রচলিত বাজেট পেশ করে। সরকারের ২০২২-২০২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটও এর থেকে আলাদা নয়। এ বাজেটে সাধারণ মানুষ অবহেলিত। বরাবরের মতো এবারও বাজেট বৈষম্যমূলক দলিল হিসেবে সামনে এসেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া একদল লুটেরাদের দিয়ে এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

তারা প্রস্তাবিত বাজেটকে “অনৈতিক এবং চোরাকারবারীদের পৃষ্ঠপোষকতা” বলে বর্ণনা করে এবং বলেছে যে এটি দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এই জঘন্য অপরাধের জন্য শাস্তির পরিবর্তে পুরষ্কার প্রদানের এই সমস্ত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে অর্থপাচারকারী এবং দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

উল্লেখ্য, একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট ছাড়া কোনোভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। বাজেটের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে নিয়ে যেতে হবে উন্নতির শিকরে। বাজেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই একটি বুদ্ধিদীপ্ত বাজেটই বলে দেয় দেশের ভবিষ্যত অগ্রগতির কথা।

About Shafique Hasan

Check Also

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল রাষ্ট্রদূত হওয়ায় যা বললেন মিলার

বাংলাদেশের আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *