মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে নির্বাচন শুধুমাত্র ভোটের দিনের বিষয় নয়, একটি সর্বজনীন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যেখানে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত স্টেকহোল্ডাররা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। মোদ্দা কথা হলো ভোটের এমন পরিবেশ নিশ্চিত হবে যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতারের ঢাকা সফর নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় প্রচারিত এক বার্তায় এ কথা বলেন। সকালে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবরুদ্ধ (ব্লক্ড) একটি অনলাইন আউটলেটের প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা অবগত। ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার গতকালও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে। নির্বাচন শুধুমাত্র ভোটগ্রহণের নির্ধারিত একটি দিনের বিষয় নয়, বরং নির্বাচন হচ্ছে সুশীল সমাজ, মিডিয়া এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া।”
দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র, ঢাকায় রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিনিধিরা বহুবার স্পষ্ট করেছেন যে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কিংবা কারও প্রতি বিশেষ পছন্দ-অপছন্দ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। বরং ওয়াশিংটনের একমাত্র চাওয়া হলো এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচন করতে পারে।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের দেড় দিনের সফর সম্পর্কে দূতাবাসের সর্বশেষ ফেসবুক বার্তায় বলা হয়েছে যে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশন তাকে বাংলাদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে। সফরকালে আফরিন সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন, রোহি”ঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই সব ঘটেছে ৩৬ ঘন্টারও কম সময়ে।