Thursday , October 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে পরপারে চলে গেলেন স্বামী

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে পরপারে চলে গেলেন স্বামী

বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ বলে চিরকুট লিখে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁ*স দিয়ে আত্মহ*ত্যা করেছেন নজরুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষক। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্কুল শিক্ষক হরিদ্রবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খালেক খানের ছেলে।

তিনি আমতলী সদর ইউনিয়ন উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। জানা যায়, নজরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের দুলাল ভূইয়ার মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয় দুই বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের এক বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার সকালে স্ত্রী খাদিজা বেগম তার ভাশুর ফেরদৌস খানকে বলেন, ‘আমি বাবার বাড়ি চলে গেলাম, আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে।’

এ কথা বলে খাদিজা বেগম তার বাবার বাড়িতে চলে যান। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা একটি আম গাছের সঙ্গে নজরুল ইসলামকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। নজরুলের কাপড়ে মোড়ানো একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্ত্রী খাদিজা বেগম গা ঢাকা দিয়েছেন।

শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফরদৌস খান বলেন, বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী আমার ভাইকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার অত্যাচার সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি চাই। খাদিজা বেগম গা-ঢাকা দেওয়ায় এ বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু কালবেলাকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

About Nasimul Islam

Check Also

জানা গেল পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় ধরাপড়া সেই হিন্দু যুবকের পরিচয়

ভোলার সদর উপজেলার শ্রী শ্রী দুর্গা মাতার মন্দিরের পূজা মণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় শিমুল চন্দ্র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *