Wednesday , October 30 2024
Breaking News
Home / Entertainment / প্রতারণার শিকার হয়ে ২ কোটি টাকা খোয়ালেন সানী-মৌসুমীপুত্র, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রতারণার শিকার হয়ে ২ কোটি টাকা খোয়ালেন সানী-মৌসুমীপুত্র, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকাই সিনেমার তারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমী। এখন অভিনয়ে খুব একটা দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় তিনি। দম্পতির ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন পেশায় ব্যবসায়ী। এবার লাভের আশায় অর্থ লগ্নি করে দুই কোটি টাকা লোকসান দিলেন এই তারকা পুত্র। বাবা ওমর সানী ফেসবুকে এ কথা জানান। তিনি তার ছেলে ফারদিনের একটি দীর্ঘ লেখা প্রকাশ করেন।

ওমর সানির শেয়ার করা ওই পোস্টে স্বাধীন লিখেছেন, নিশাত বিন জিয়া ৪০-৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। আপনারা হয়তো এমটিএফই এবং এ রকম আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনেছেন। তবে কোন অ্যাপ নয়, আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো একজন ভন্ড প্রতারক ও অর্থ পাচারকারীর আসল কাহিনী।

তারপর তিনি লিখেছেন, আমি ২০২২ সালের মাঝামাঝি নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এই ব্যক্তির সাথে দেখা করেছি। তিনি নিজেই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তখন থেকেই আমরা একে অপরকে চিনি। বিভিন্ন সময়ে নিশাত নিজেই আমাকে এবং আমার কয়েকজন বন্ধুকে তার একটি আইটি ব্যবসার কথা বলতে থাকে। আমাদের দেখা হওয়ার চার মাস পর, তিনি আমার এবং আমার পরিচিতদের সাথে তার বন্ধুত্ব গভীর করার পর ব্যবসার মূলধন হিসাবে কিছু নগদ নিতে শুরু করেছিলেন। তবে পরে জানা যায়,তার কোম্পানির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দূরের কথা, কোনো বৈধ ট্রেড লাইসেন্সই নেই।

সানী-মৌসুমীপুত্র আরও লিখেছেন, আমার টাকাকে ব্যবসার লোন বলা যেতে পারে। তারা বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এসব লেনদেন করত যাতে বাংলাদেশ সরকার তাদের দেখতে না পায়। যা পরে জানতে পেরেছি। যা আমি পরে জেনেছি। ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে দুই কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি যে, আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে। সেই চেক প্রদান করে সে আমার থেকে জানুয়ারি ২০২৩ সাল ২ কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন। আমার ন্যায্য টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে ও আমার অফিসের কর্মচারীরা একাধিকবার হয়রানির শিকার হন।

এরপর ফারদিন মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে বলেন, নিশাত বিন জিয়া প্রতারণা করে দুবাইতে টাকা পাচার করেছেন এবং এক সপ্তাহে তিন লাখ দিরহাম অর্থাৎ প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করেছেন। পরে আরও জানা যায়, প্রতারণামূলক টাকায় বিলাসবহুল জীবন দেখিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

তবে টাকা খুইয়ে বসে নেই সানীপুত্র। ইতোমধ্যে নিয়েছেন আইনি পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত মাসে ঢাকা ডিবি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সব ভুক্তভোগীকে চিনি। অনেকেই এখন মামলা করতে যাচ্ছেন। চেক দিয়েছে অর্থ আমাকে প্রদান করতে পারেনি তাই আমি চেকের মামলা দিচ্ছি, কিন্তু এত প্রতারণা অর্থপাচার এগুলোর জন্য কি কোনো বিচার হবে না?

প্রসঙ্গত, ফারদিনের সঙ্গে নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের পরিচয় ২০২২ সালে। তারপরই ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িয়েছেন তারা।

About Rasel Khalifa

Check Also

আমি আওয়ামী লীগের কেউ হলে গ্রেপ্তার করুন: ইলিয়াস কাঞ্চন

রোড এক্সিডেন্টে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *