পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রচেষ্ঠা ও সাহসি ভূমিকায় পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতে অভিযোগ দেখিয়ে অর্থায়নে থেকে সড়ে দাড়াঁয় বিশ্বব্যাংক পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেতুকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে কয়েকজন প্রাণনাশ করা হয় তাদের একজন তাসলিমা বেগম রেনুর।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করেন।
নির্মাণ কাজ শুরুর আগে থেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বাধাগ্রস্ত করতে ছড়ানো হয়েছিল গুজব। সেতু নির্মাণের জন্য শিশুর মাথার প্রয়োজন হবে। এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
গুজবে কান দিয়ে ২০১৯ সালে সারাদেশে ২১ জন গণপিটুনির শিকার হন। প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। ওই বছরের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় তসলিমা বেগম রেনু (৪০) হ/ত্যার ঘটনা ছিল খুবই মর্মান্তিক। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর তথ্য নিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়ে মা/রা যান তিনি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সেতুকে নিয়ে এত ষড়যন্ত্র, গুজব, বাধা, প্রাণহানি; সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলো আজ। সেতু নিয়ে গুজবের বলি রেনুর পরিবারের ক্ষেত্রেও আগ্রহ ব্যতিক্রম নয়। তারাও অধীর আগ্রহী ছিল। সকল বাধা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হল, তাতেই গর্বিত রেনুর পরিবার বলে জানা গেছে।
২০১৯ সালে রেনুর মর্মান্তিক মৃ/ত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তার স্বজনরা। এই মৃ/ত্যু পদ্মা সেতু নিয়ে আজও তাদের তাড়া করছে। সেতুর কথা মনে পড়ে, সেতু নিয়ে কোনো কথা কানে আসে, তখনই রেনুর পরিবারের সবার চোখে ভেসে ওঠে রেনুর রক্তমাখা চেহারা, সেই বর্বরতার চিত্র। যে চিত্র ২০ জুলাই, ২০১৯-এ দেখেছিলেন দেশবাসী । শুধু গুজবের বলি হয়েছিলেন রেণু।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচজন। অবশেষে পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় বিবৃতি দিয়ে জনগণকে গুজব থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু তৈরীতে মাথা লাগবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় প্রাণনাশের শিকার হন তাসলিমা বেগম রেনু। তারা পরিবার তাকে হারানো্ বুঝা আজও বয়ে বিড়াচ্ছেন বলে জানা যায়।