Tuesday , September 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনে সাংবাদিকদের ক্ষমতা দিয়ে হচ্ছে নতুন আইন, হতে পারে শাস্তিও

নির্বাচনে সাংবাদিকদের ক্ষমতা দিয়ে হচ্ছে নতুন আইন, হতে পারে শাস্তিও

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। এদিকে জনমনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় বেশ আগে থেকে। নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। যাতে করে যে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়ে তার সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এবার নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ক্ষমতা দিয়ে নতুন আইন প্রনয়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ আহসান হাবিব খান বলেছেন, সাংবাদিকদের নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের তিন বছরের কারাদণ্ড চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে সংগঠনটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা আমাদের চোখ।আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমার (ইসির) অন্যায় আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার ভুলগুলো আমাকে দেখান, আমি নিজেই সংশোধন করবো। আমি মিডিয়াকে এই মূল্যায়ন করছি।

ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম ও স’ন্ত্রা”সী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। তাই এবারের নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতে আছে। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

“একজনকে জোর করে অন্যকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা শনাক্ত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, যারা জোর করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা ভয়ে থাকে। এ ধরনের ঘটনা ১১টা বুথে ঘটে।অনিয়মের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনেছি।

আহসান হাবীব বলেন, সংসদ নির্বাচনের সময় সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা থাকবে। এতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার সমস্যা রয়েছে। কোথাও বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট নেই। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা আছে।

তিনি বলেন, বাজেট বরাদ্দে ঘাটতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেবেন। পুরো নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মধ্যে নিয়ে আসার ইচ্ছা আছে।

তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবোএবং সেখানে থাকবে সিসি ক্যামেরা। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা এটা কোন বিলাসিতা নয়, এটা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।

About bisso Jit

Check Also

আজ (৯ সেপ্টেম্বর) মুদ্রা বিনিময় হার এবং রেমিটেন্স পাঠানোর নিরাপদ পদ্ধতি সমূহ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই ব্যবসায়িক লেনদেন সচল রাখতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *