Monday , December 30 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমরা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছি বলে নিজেই কথাটি প্রকাশ্যে আনলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

আমরা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছি বলে নিজেই কথাটি প্রকাশ্যে আনলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

জাহিদ মালেক হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মাননীয় মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকেই তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। জাহিদ মালেক বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল অওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন আমরা একেবারে বেপরোয়া গিয়েছি।

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “আমরা বেপরোয়া হয়ে গেছি। আমি মাস্ক পড়ি না, স্বাস্থ্যবিধি মানি না। আমরা বুড়ো হব, কিন্তু মরব না; এটা হবে না। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা শূন্য দশমিক পাঁচে নেমে আসছিল। কিন্তু এরপর দেখলাম, সংক্রমণ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। একদিনে ১২, ৯, ২, ৩- এভাবে মানুষ মারা গেছে।’

তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক-সামাজিক অনুষ্ঠান করছি। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। অফিস-আদালতে, পরিবহনে আমি মাস্ক পরছি না। কেউ পরিচ্ছন্নতা অবহেলা করছে না। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সচেতনতার পাশাপাশি টিকা দিচ্ছি। আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে বসে আছি। মানুষকে টিকা দিতে হবে। বুস্টার ডোজ একইভাবে নেওয়া হয়নি যেভাবে লোকেরা প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ নেয়। আমরা লোকেদের ডাকব, আমরা বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য একটি প্রচারণা শুরু করছি। তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগই টিকা পাননি। টিকা দেওয়ার পরে যারা মারা গেছে তাদের অনেকেরই অন্যান্য রোগ ছিল।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি খুব দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী। তিনি তার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে স্বাস্থ্য খাতে বেশ উন্নউন হয়েছে সারা বাংলাদেশে। একবার না দুবার না তিন তিন বার জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ থেকে সংসদ সদসত হিসেবে নির্বাচিত হন।

About Shafique Hasan

Check Also

কোহিনূরের পর বিশ্বের সবচেয়ে দামি হীরা দরিয়া-ই-নূর বিদেশে পাচার করেছিল শেখ হাসিনা

ঢাকার নবাবি আমলের মহামূল্যবান হীরকখণ্ড ‘দরিয়া-ই-নূর’ নিয়ে রহস্য আজও অমীমাংসিত। ২০১৬ সালে সোনালী ব্যাংক সদরঘাট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *